নিজস্ব প্রতিবেদক
সম্প্রতি সৌদি আরবে আগুনে পুড়ে যাওয়া সাতজনের মধ্যে চারজনই রাজশাহীর বাগমারার। বুধবার দুপুরে তাদের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে আনার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা। পুরো গ্রাম জুড়ে তৈরী হয় শোকের আবহ। একে একে সবার জানাযা শেষে মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। আশেপাশের গ্রামের লোকজনও এক নজর মরদেহ দেখতে ভিড় জমায় নিহতদের বাড়িতে।
নিহতরা হলেন-রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার বারইপাড়া গ্রামের জফির উদ্দিনের ছেলে রুবেল হোসাইন, জমিরের ছেলে মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম, শাহাদাত হোসাইনের ছেলে মো. আরিফ হোসেন ও বড়মাধাইমুরি গ্রামের আনিসুর রহমান সরদারের ছেলে ফিরুজ আলী সরদার।
গত ১৪ জুলাই বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টার দিকে দাম্মামের হুফুফ শহরে একটি সোফা কারখানায় অগ্নিকান্ডের ঘটনায় নয়জন নিহত হন। এরমধ্যে বাংলাদেশী সাতজন, যাদের চারজন রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার বারইপাড়া ও বড়মাধাইমুড়ি গ্রামের বাসিন্দা।
বুধবার দুপুরে রাজশাহীর বাগমারায় নিয়ে আসা হয় তাদের মরদেহ। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে পাগল প্রায় স্বজনেরা। আশেপাশের এলাকাবাসীও এক নজর মরদেহ দেখতে ভিড় জমায় সেখানে। মরদেহ নিয়ে আসার কিছুক্ষন পরেই স্থানীয় কবরস্থানে চারজনের দাফন সম্পন্ন করা হয়।
বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এফ এম আবু সুফিয়ান বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে চারজনের মরদেহ ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহগুলো নিজ নিজ বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হয়। সরকারি উদ্যোগে চারজনের মরদেহ আনা থেকে শুরু করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সব ধরনের সহায়তার দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।