• ঢাকা, বাংলাদেশ শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:৫২ অপরাহ্ন

সাতটি ভালো কাজ করার শর্তে ২০ শিশুকে মুক্তি দিল আদালত

রিপোর্টার নাম:
আপডেট বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজশাহীতে সাজার বদলে সাতটি শর্তে বিকল্প পন্থায় ১৮ মামলায় ২০ শিশুকে মুক্তি দিয়েছে রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক মুহা. হাসানুজ্জামান প্রবেশনে মঙ্গলবার দুপুরে তাদের মুক্তি দেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কারাগার থেকে মুক্তির শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে বাবা-মায়ের যত্ন নেয়া, ধর্ম পালন, বাল্যবিবাহ থেকে দূরে থাকা, মাদক থেকে বিরত থাকা, মারামারি কিংবা বিবাদে না জড়ানো, নিয়মিত পড়াশোনা করা ও গাছ লাগানো।

নির্দিষ্ট শর্তে প্রবেশনে খালাস পেয়ে খুশি অভিযুক্ত শিশু ও তাদের পরিবার। এ ঘটনায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপক্ষও।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নাসরিন আখতার মিতা জানান, ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত রাজশাহীতে শিশু আইনে হওয়া মামলার মধ্যে মাদক সেবন, মারামারির মতো ঘটনায় ১৮টি মামলায় আসামি হয়েছিল ২০ জন, তবে তারা প্রথমবারের মতো এমন অপরাধে অপরাধী হওয়ায় মঙ্গলবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক মুহা. হাসানুজ্জামান প্রবেশনে তাদের মুক্তি দেন।

তিনি জানান, এসব শিশু সাতটি শর্তে নিজ বাড়িতেই থাকবে। তাদের ওপর আরোপিত শর্তগুলো পালন হচ্ছে কি না, তা নিয়মিত তদারকি করবেন ও রিপোর্ট দেবেন জেলা প্রবেশন কর্মকর্তা।

আইনজীবী নাসরিন আখতার মিতা বলেন, ‘প্রবেশন বলতে বোঝায় কোনো অপরাধীকে তার প্রাপ্য শাস্তি স্থগিত রেখে ও কারাগারে না পাঠিয়ে সমাজে খাপ খাইয়ে চলার সুযোগ দেয়া। প্রবেশন ব্যবস্থায় প্রথম ও লঘু অপরাধে দণ্ডিত শিশু-কিশোর বা অন্য কোনো প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে কারাগারে না পাঠিয়ে আদালতের নির্দেশে শর্তসাপেক্ষে প্রবেশন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে নিজ বাসায় বা পরিবারের সঙ্গে থাকার সুযোগ দেয়া হয়।

কেউ যাতে পুনরায় অপরাধে না জড়ান ও একজন আইন মান্যকারী নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠেন, সেই চেষ্টাই করা হয় প্রবেশনের মাধ্যমে।

রাজশাহী জেলা প্রবেশন কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান, সাজার বদলে শিশুরা মুক্তি পেলেও তাদের আদালতের শর্তগুলো একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত মেনে চলতে হবে।

রায় ঘোষণার সময় আদালত বলেছে, শর্ত পূরণ না হলে মামলার নির্ধারিত সাজা ভোগ করতে হবে এ শিশুদের।

আদালতের এমন রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী এস এম হাসিবুল আলমও। তিনি বলেন, আদালত সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছে। এর মাধ্যমে শিশু অপরাধীরা নিজেদের সংশোধনের সুযোগ পাবে ও তাদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা অনেকাংশেই কমে যাবে।

রায় ঘোষণার সময় আদালতে অভিযুক্ত শিশুরা উপস্থিত ছিল।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরিতে আরো নিউজ