বাংলার কথা ডেস্ক
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তিন দিন আগে ভোটের মাঠ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় পার্টির আরও পাঁচ প্রার্থী। তারা হলেন- চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে লাঙ্গলের প্রার্থী জেলা জাপা সভাপতি অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের দলীয় প্রার্থী রবিউল ইসলাম, সিলেট-৫ আসনে লাঙ্গলের প্রার্থী ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান সাব্বির আহমদ, গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলচড়ি) আসনে লাঙ্গলের প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, ময়মনসিংহ-৩ আসনে লাঙ্গলের প্রার্থী ডা. মোস্তাফিজুর রহমান আকাশ। নানামুখী চাপ ও ভোটের পরিবেশ নেই– এমন অভিযোগ তুলে বুধবার নির্বাচন না করার ঘোষণা দেন তারা। এ নিয়ে গত চার দিনে জাপার ১৮টি আসনের প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।
জেলা আইনজীবী সমিতি মিলানয়তনে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে লাঙ্গলের প্রার্থী জেলা জাপা সভাপতি অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের দলীয় প্রার্থী রবিউল ইসলাম।
সোহরাব হোসেন বলেন, ‘প্রচারে দারুণ সাড়া পেলেও কেন্দ্রীয় নেতাদের আচরণে আমরা হতাশ। তারা আওয়ামী লীগের কাছ থেকে ২৬ আসন পাওয়ার পর আমাদের পানিতে ভাসিয়ে দিয়েছেন। পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরসহ ২৬ নেতার কাছে সবাই জিম্মি। তারা সরকারের কাছ থেকে কোটি কোটি পেলেও প্রার্থীদের এক টাকাও দেননি।’
জেলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে সিলেট-৫ আসনে লাঙ্গলের প্রার্থী ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান সাব্বির আহমদ বলেন, ‘নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নেই। নানাভাবে হুমকিধমকি ও চাপ দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য ভোট প্রত্যাখ্যান করলাম।’ এ নিয়ে সিলেট বিভাগের ১৯টি আসনে জাতীয় পার্টির তিনজন, স্বতন্ত্র এক ও বিএনএমের এক প্রার্থী সরে দাঁড়ালেন।
নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলচড়ি) আসনে লাঙ্গলের প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আতাউর রহমান সরকার বলেন, নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন, কর্মীদের মারধর, প্রশাসনের অসহযোগিতাসহ নির্বাচনের পরিবেশ না থাকাই ভোট থেকে সরে দাঁড়ালাম।