রাজশাহী সংবাদ ডেস্ক
রেল দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতের ওড়িশায় শুক্রবার সাম্প্রতিককালের সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনায় ২৮৮ প্রাণহানি ও সহস্রাধিক যাত্রী আহত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে রোববার এ আহ্বান তিনি।গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে চিলাহাটি-ঢাকা-চিলাহাটি রুটে নতুন আন্তনগর ট্রেন উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ মোবাইল ফোন কানে দিয়ে রেললাইনে হাঁটা এবং রেল গেট পড়ার পর গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘ভারতে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা ঘটেছে। একসঙ্গে তিনটি রেল দুর্ঘটনার বলি হয়ে ২৮৮ জন মারা গেছেন। আমি তাদের পরিবারের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানাচ্ছি। আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়ে শোক জানিয়েছি। ‘এ ঘটনা খুবই দুঃখজনক। আমাদের দুজন বাংলাদেশিও আহত রয়েছেন। এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা সত্যি চিন্তার বিষয়।’ খবর: নিউজবাংলা
সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমরা সরকার গঠন করার পর থেকে আমাদের রেলপথ, সড়কপথ, নৌপথ সবকিছু যাতে চালু হয়, তার ব্যবস্থা নিয়েছি। আমাদের বিমানবন্দরগুলো উন্নত করেছি। রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে।’ ওই সময় সবাইকে সতর্ক থেকে এর সুফল ভোগের আহ্বান জানান সরকারপ্রধান। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে জ্বালানি ও নিত্যপণ্যসহ সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে। এর প্রভাবে বর্তমানে মূল্যস্ফীতি ও লোডশেডিংয়ে দেশের মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। ‘একদিকে মূল্যস্ফীতি আর অপরদিকে এখন বিদ্যুৎ নেই। একবার যদি বিদ্যুতের পাঙ্খায় বাতাস খাওয়ার অভ্যাস হয়ে যায়, তারপরে না পেলে তো আরও কষ্ট হয়ে যায়।’
তিনি বলেন, ‘আজকে সারা বিশ্বব্যাপী গ্যাস, তেল, কয়লা সবকিছুর দাম বেড়ে যাওয়াতে এখন বিদ্যুৎ উৎপাদনও ব্যাহত হচ্ছে। টাকা দিয়েও পাওয়া যাচ্ছে না, এ রকমই অবস্থা দাঁড়িয়েছে, যার জন্য আমি জানি এই গরমে মানুষের তো কষ্ট হচ্ছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখন আমের মৌসুম। ম্যাঙ্গো এক্সপ্রেস চালু করা হয়েছে। সে জন্য রেলকে ধন্যবাদ জানাই।
‘আজকে সারা বাংলাদেশের মানুষ উত্তরাঞ্চলের আম খেতে পারবে। আমাদের বন্ধুত্বপ্রতিম দেশগুলোতে আম পাঠাব, আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোতেও আম পাঠাব।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পঁচাত্তরের পরে যারা ক্ষমতায় এসেছিল, তারা এ দেশের উন্নয়ন চায়নি। তারা দেশটাকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। জনগণের ভোটের অধিকার, খাবার অধিকার, বেঁচে থাকার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। প্রতি রাতে কারফিউ, মানুষের স্বাভাবিক চলাফেরা সুযোগ ছিল না। জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে অবৈধ ক্ষমতাকে বৈধ করার এক প্রক্রিয়া চলছিল এ দেশে।’
২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটা উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা ক্ষমতায় এসেছিলাম যে স্বাধীনতা ব্যর্থ হতে পারে না। উত্তরবঙ্গে সবসময় মন্দা লেগেই থাকত। আওয়ামী লীগ যেত, তাদের জন্য লঙ্গরখানা খুলতাম। তাদের দুর্দশা আমি স্বচক্ষে দেখেছি।’