নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনে (রাসিক) আবারো মেয়র নির্বাচিত হলেন আওয়ামী লীগ নেতা এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। এবার রেকর্ড ভোটে বিজয়ী হয়ে তৃতীয়বারের মতো নগরপিতা হলেন তিনি। বুধবার অনুষ্ঠিত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বড় ব্যবধানে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য লিটন। এদিকে, কয়েকদিন আগে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী রয়েছেন দ্বিতীয় অবস্থানে। খায়রুজ্জামান লিটন নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৬০ হাজার ২৯০ ভোট পেয়েছেন। নির্বাচন থেকে সরে যাওয়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুরশিদ আলমের হাতপাখা প্রতীকে পড়েছে ১৩ হাজার ৪৮৪ ভোট। তিনিই আছেন দ্বিতীয় অবস্থানে। আর জাকের পার্টির মেয়রপ্রার্থী লতিফ আনোয়ার গোলাপ ফুল প্রতীকে ১১ হাজার ৭১৩ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন। জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ১০ হাজার ২৭২ ভোট।
এছাড়াও বাতিল হয়েছে ২০১০ ভোট। প্রাপ্ত ভোটের হিসেব মতে ৫৬ দশমিক ৭০ শতাংশ ভোট পড়েছে।
রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে ফল ঘোষণা করেন এই নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন।
নগরীর রানীবাজারে নিজের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বসেই কেন্দ্র থেকে আসা ফলাফল দেখছিলেন খায়রুজ্জামান লিটন। বিজয় নিশ্চিত হওয়ার পর লিটনকে ফুলের মালা পরিয়ে দেওয়া হয়। উচ্ছ্বোসিত নেতা কর্মীরা তাকে পুলেল শুভেচ্ছা জানান।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় নগরীর কুমারপাড়ায় মহানগর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বরে বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। এরপর দলীয় কার্যালয়ে নবনির্বাচিত মেয়রকে দলের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে।
এর আগে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন দলের সমর্থনে ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৩ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের কাছে পরাজিত হন তিনি।
তবে ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির বুলবুলকেই আবারো পরাজিত করে লিটন মেয়র হন। এবারের নির্বাচনী প্রচারে লিটনের শ্লোগান ছিলো ‘উন্নয়ন দৃশ্যমান এবার হবে কর্মসংস্থান।’