নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামীর ফাঁসি যেকোন সময় কার্যকর হতে পারে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও ড. তাহেরের বাড়ির কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলম। আজ রাতেও তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হতে পারে বলে রাজশাহী কেন্দ্রীয কারাগারের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে অধ্যাপক তাহের আহমেদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামি জাহাঙ্গীর আলমের পরিবারের সদস্যরা আজ দুপুরে শেষবারের মত জাহাঙ্গীরের সাথে দেখা করেছেন। দুপুর ১টার দিকে জাহাঙ্গীর আলমের পরিবারের ৩৫ জন সদস্য কারাগারে প্রবেশ করেন। বিকেল ৪টার কিছুক্ষন আগে তারা কারাগার থেকে বের হয়ে যান। জাহাঙ্গীরের ছোট ভাই মিজানুর রহমান বলেন, তার বাবা আজিম উদ্দিনসহ ৩৫ জন শেষ দেখা করতে এসেছিলেন। কারা কর্তৃপক্ষ আমাদের দেখা করার সুযোগ দিয়েছেন।
তবে, রাজশাহী কারা কর্তৃপক্ষ এখনো এ বিষয়ে চূড়ান্ত সময় সম্পর্কে কিছু জানায়নি।
২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাবির শিক্ষক কোয়ার্টারের ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয় অধ্যাপক তাহেরের মরদেহ। পদোন্নতি সংক্রান্ত বিষয়ের জের ধরে নৃশংস হত্যার শিকার হন তিনি। ৩ ফেব্রুয়ারি নিহত অধ্যাপক তাহেরের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এই মামলায় দুজনের ফাঁসি ছাড়াও দুই আসামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী নাজমুল আলম ও আবদুস সালাম এখন কারাগারে রয়েছে।