নিজস্ব প্রতিবেদক
সোমবার দুপুরে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিভাগীয় উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় কমিশনার জি এস এম জাফরউল্লাহ্, এনডিসি। সভায় রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রধানগণ তাঁদের নিজ নিজ দপ্তরের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন।
স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কোভিড মোকাবিলায় ভ্যাকসিনের ১ম ডোজ শতকরা ৯১ ভাগ, ২য় ডোজ শতকরা ৭৮ ভাগ, বুস্টার ডোজ শতকরা ৭১ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে এবং চতুর্থ ডোজ চলমান আছে।
সড়ক ও জনপদ বিভাগের পক্ষ থেকে জানিয়েছেন, হাটি কামরুল থেকে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত রাস্তার যে সমস্যা ছিল তা ঈদে ঘরেফেরা মানুষের যাতায়াতের জন্য উপযোগী করে তোলা হয়েছে।
প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রাণিসম্পদের উৎপাদন খরচ কিভাবে কমানো যায় সে বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। খাদ্যের খরচ কমানো সম্ভব হলেই উৎপাদন বাড়বে, খামারি বাড়বে। কোরবানি হাটে মানুষের সুবিধার্থে মেডিকেল টিম গঠন করা হবে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আদা, রসুনের দাম বেড়েছিল। প্রশাসনের নজরদারিতে ও ব্যবস্থাপনায় দাম কমে এসেছে। ঈদের সময় যেন মসলা জাতীয় পণ্যের দাম মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে না যায় সে বিষয়ে খেয়াল রাখা হবে। মসলা জাতীয় পণ্য যেন মানুষ প্রয়োজনের অতিরিক্ত ক্রয় না করে সে বিষয়ে অনুরোধ জানানো হয়।
ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাজশাহী বিভাগের অগ্নি নির্বাপণে ৬৫ মিটার উচ্চতা (২২ তলা) পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা যাবে এমন একটি অগ্নিনির্বাপক যান পাওয়া গেছে, যা ইতোপূর্বে রাজশাহীতে ছিল না।
সভাপতির বক্তৃতায় বিভাগীয় কমিশনার বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নের সাফল্য বিভাগের সকল দপ্তরের। তিনি ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপণ সক্রান্ত যান প্রাপ্তিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন। সড়ক ও জনপদ বিভাগকে ঈদের আগেই খারাপ রাস্তাগুলো ঠিক করার পরামর্শ দেন। সমন্বয় সভায় রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রধান ও জেলা প্রশাসকগণ অংশগ্রহণ করেন।