• ঢাকা, বাংলাদেশ শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:৩৭ পূর্বাহ্ন

রাজশাহীতে ভোটের আগেই সহিংসতা, কেন্দ্রে আগুন

রিপোর্টার নাম:
আপডেট শুক্রবার, ৫ জানুয়ারী, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রিক সহিংসতা সৃষ্টি হয়েছে রাজশাহীতে। জেলার বিভিন্ন সংসদীয় আসনেঅগ্নিসংযোগ, ককটেল বিস্ফোরণ ও আইডি পেতে রাখার খবর মিলেছে। তবে এসব ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) গভীর রাতে রাজশাহীর তিন উপজেলায় চারটি ভোটকেন্দ্রে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। একটি কেন্দ্রে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। সেখান থেকে পরে দুটি তাজা ককটেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। ভোটের আগে জনমনে আতঙ্ক ছড়াতে এমন অগ্নিসন্ত্রাস করা হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর মধ্যে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার দু’টি নির্বাচনী কেন্দ্রে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এরমধ্যে আড়ানী ইউনিয়নের ঝিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষের ১৫টি চেয়ার, টেবিল, আলমারিসহ বেশকিছু আসবাবপত্র পুড়ে গেছে।
ঝিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুরাদ আলী বলেন, রাত সাড়ে ১১টার দিকে আগুন লাগে। অফিসের পেছনের জানালার ফাঁক দিয়ে আগুন দেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করছেন তারা। সেখানে পেট্রোল পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এতে ধারণা করা হচ্ছে দুষ্কৃতকারীরা আতঙ্ক ছড়াতে আগুন দিয়েছে।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, উপজেলার জুতনশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের পরিত্যক্ত ভবনে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এটি মূল ভোটকেন্দ্রের বাইরের অংশ। এই আগুনের ফলে ভোট কেন্দ্রের কোনো ক্ষয়-ক্ষতি হয়নি। এছাড়া আড়ানী পৌরসভার ঝিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের প্রধান শিক্ষকের অফিসে আগুন লেগেছে। এতে কিছু বই ও আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। যদিও প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে এই স্কুলে আগুন লেগেছে। তবে তদন্তের পর নিশ্চিত করে বলা যাবে।
অন্যদিকে বাগমারা উপজেলার গণিপুর ইউনিয়নের আক্কলপুর উচ্চবিদ্যালয় ও মোহনপুর উপজেলার মতিহার উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রেও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এছাড়া বিকট শব্দে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনার পর বাগমারা উপজেলার ভোটকেন্দ্রটি থেকে শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সকালে আরও দুটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার জানান, উপজেলার আক্কেলপুর উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। স্থানীয়রা রাতেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ভোটকেন্দ্রের সামনে দুটি অবিস্ফোরিত তাজা ককটেল পাওয়া যায়। পরে সেগুলো উদ্ধারের পর নিস্ক্রিয় করা হয়। তবে এঘটনায় কাউকে এখনও সনাক্ত বা আটক করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে ভোটের আগে এসব বিচ্ছিন্ন সহিংসতা সৃষ্টির বিষয়ে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে। এসব ঘটনায় ভোটের দিন কোনো প্রভাব ফেলবে না। এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা। গত রাতে কোন স্কুলে কীভাবে আগুন লেগেছে, তার তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে তানোর উপজেলার সদরের গোল্লাপাড়া মাঠে জনসভা ছিল স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম রাব্বানীর (কাঁচি প্রতীক)। নির্বাচনী জনসভা শেষে একটি দোকানের পাশে একটি বোতলে আইইডি (উন্নত বিস্ফোরক ডিভাইস) সদৃশ সার্কিট বাধা বোতল পাওয়া যায়। পরে র‌্যাব-৫ এর উপ-অধিনায়ক মেজর হাসান মাহমুদের নেতৃত্বে একটি চৌকস অপারেশনাল দল দ্রুত ঘটনা স্থানে পৌঁছে। তারা সার্কিট লাগানো আইডি সাদৃশ্য বস্তুকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দ্রুততার সাথে বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট গোল্লাপাড়া বাজারের কাছে থাকা ফাঁকা মাঠে নিয়ে রাতে সাড়ে ৮টার দিকে তা নিষ্ক্রিয় করে।
বাংলার কথা/জানুয়ারি ০৫, ২০২৪


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরিতে আরো নিউজ