• ঢাকা, বাংলাদেশ শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:৩৮ অপরাহ্ন

রাজশাহীতে বেড়েছে ডিমের দাম 

রিপোর্টার নাম:
আপডেট শনিবার, ২৯ জুলাই, ২০২৩
রাজশাহীতে বেড়েছে ডিমের দাম 
রাজশাহীতে বেড়েছে ডিমের দাম 

নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজশাহীর বাজারে এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে ডিমের দাম। কয়েক সপ্তাহ থেকে ডিমের দাম কম থাকলেও এই সপ্তাহে আবারও বেড়ে গেছে। গত সপ্তাহেও রাজশাহীতে প্রতি হালি লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা ও সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৬ টাকা হালিতে বিক্রি হলের চলতি সপ্তাহে ডিমের দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে প্রতি হালি লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকা ও সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকা হালিতে।
ডিম বিক্রেতাদের দাবি, কোরবানি ঈদের পরে ডিমের চাহিদা কম ছিলো। তাই তখন ডিমের দামও অনেক কমে গিয়েছিল। তখন ডিমের হালি বিক্রি হয়েছে ৩৪ থেকে ৩৬ টাকা। এখন ডিমের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় আবারও বাড়তে শুরু করেছে। চাহিদা কমে গেলে দাম আবারও কমে যাবে।
নগরীর সাহেববাজারের পাইকারি ডিম বিক্রেতা রমজান আলী বলেন, খামার থেকে আবার বেশি দামে ডিম কিনে নিয়ে আসতে হচ্ছে। বাধ্য হয়ে আমাদের দাম বাড়াতে হচ্ছে। তারা আমাদরে পাইকারিতেই বেশি দাম রাখছে। ঈদের আগেও আমার ৩০ থেকে ৩২ টাকা হালিতে দিম কিনেছি। একন সেই ডিম কিনতে হচ্ছে ৪২ থেকে ৪৪ টাকায়। বেশি দামে কিললে তো বেশি দামেই বেঁচেতে হবে।
সাগরপাড়া এলাকার মুদি দোকানী লালন উদ্দিন বলেন, গত সপ্তাহে সাদা ডিম ৯০০ টাকায় ১০০ ডিম কিনেছিলাম। কয়েকদিনের ব্যবধানে তা হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
নগরীর নিউ মার্কেট এলকার দোকান থেকে ৪৮ টাকা হালিতে ডিম কেনন আব্দুল মজিদ। তিনি বলেন, ডিমের দামও আর স্থিতিশীল নয়। ডিমের দামও এখন ২ টাকা পিস। আমার মধ্যবৃত্তরা খাবো কী করে। ডিমের দাম যদি ১২ টাকা হয়। মাছে দাম ও বেড়েছে খাবো কী?
এদিকে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচামরিচের দাম কমেছে ৯০ টাকা। কোরবানি ঈদের পরে রাজশাহীর বাজারে মরিচের দাম হয় ৬০০ টাকা। এরপর কমতে শুরু করেছে। এই সপ্তাহে মরিচের দাম বিক্রি হয়েছে প্রতিকেজি ১৬০ টাকায়। গত সপ্তাহে মরিচ বিক্রি হয়েছে ২৫০ টাকা কেজিতে।
শনিবার রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। আড়তদার ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ কম থাকায় মরিচের দাম বেড়ে গিয়েছিল। সরবরাহ এখন বেশি হচ্ছে তাই মরিচের দাম কমে যাচ্ছে।
এই সপ্তাহে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭০ টাকা, ভারতীয় ৪০ টাকা, আদা ৩২০, রসুন দেশি ২৫০ ভারতীয় ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এই সপ্তাহে সবজির দাম অপরিবর্তিত আছে। আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি, দেশী আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজিতে। এই সপ্তাহে পটল ৩০ টাকা কেজি, লাউ ৩০ থেকে টাকা, কচু ৫০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৩০ টাকা, কাঁকরোল ৮০, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০, করোলা ৪০, শশা ৫০ টাকা, বরবটি ৫০, সজনে ৫০, ঝিঙে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
এই সপ্তাহে বিক্রি বয়লার মুরগি ১৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এছাড়া সোনালী মুরগী প্রতিকেজি ২৮০ টাকা, দেশী মুরগী পাওয়া যাচ্ছে ৪৫০ টাকা কেজিতে। এছাড়া পাতিহাঁস পাওয়া যাচ্ছে ৪৫০ টাকা কেজি। এদিকে অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। গত সপ্তাহের মতো এই সপ্তাহেও গরুর মাংস প্রতিকেজি ৭২০ ও খাসি ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফার্মের মুরগির প্রতি হালি লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৬ টাকায়, সাদা ডিম ৪২ টাকা, দেশী মুরগি ৬০ ও হাঁস ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এই সপ্তাহে বড় ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১২০০ থেকেজ ১৬০০ টাকা কেজিতে, বাগদা চিংড়ি ৮০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ১০০০ টাকা, চিংড়ি মাঝারি ১৩০০ টাকা, প্রতি কেজি পাবদা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা, টেংড়া ৬০০ টাকা কেজি, শিং মাছ বিক্রি হচ্ছে কেজি ৬০০ টাকা, বোয়াল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা, পাঙাস মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা, চাষের কই প্রতি কেজি ৫৫০ টাকা, দেশি কই ৬০০ টাকা, বড় তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা, ছোট তেলাপিয়া ১৫০, রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ থেকে ৩৬০ টাকা, কাতল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রাজশাহী জেলা বাজার মনিটরিং কর্মকর্তা আফ্রিন হোসেন বলেন, রাজশাহীর বাজারে ডিমের দাম কিছুটা বেড়েছে। আমরা মনিটরিং করছি। জেলা প্রশাসনকে সাথে নিয়েই আমরা বাজার মনিটরিং কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি খুব শিগ্রই ডিদের দাম কমে আসবে।
আরএস/এসএস


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরিতে আরো নিউজ