নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজশাহীর মাঠে আবারো গড়াচ্ছে আন্তর্জাতিক ম্যাচ। রাজশাহীর শহীদ এ এইচ এম কামরুজ্জামান বিভাগীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ ও সাউথ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব ১৯ এর মধ্যে অনুষ্ঠিত পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দুই ম্যাচ এই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার গড়াবে রাজশাহীর প্রথম ম্যাচ। এরই মধ্যে সব ধরণেই প্রস্তুতি নিয়েছে বিসিবি। এর আগে ১৭ বছর পর চলতি বছরের মে মাসে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ ও পাকিস্তান অনুর্ধ ১৯ দলের খেলার মাধ্যমে রাজশাহীতে গড়ায় অন্তুর্জাতিক ম্যাচ।
৫ ম্যাচ সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে রাজশাহী শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে শুক্রবার সকাল ৯টায় শুরু হবে। অপর ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ১৭ জুলাই। এরই মধ্যে রাজশাহীতে পৌঁছেনের বাংলাদেশ ও সাউথ আফ্রিকার যুবারা। বৃহস্পতিবার সকাল আটটা থেকে প্র্যাকটিস করে সাউথ আফ্রিকা দল। সাড়ে বারোটায় মাঠে প্র্যাকটিস করে বাংলাদেশ দল।
রাজশাহী শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামের ভেন্যু ম্যানেজার আরেফিন ইসলাম বলেন, খুলনা তিন ম্যাচ খেলার পার বাংলাদেশ ও সাউথ আফ্রিকার যুবারা রাজশাহীর মাঠে দুইটি ম্যাচ খেলবে। ৫ ম্যাচ সিরিজের শেষ দুইট ম্যচ এখানে অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে মাঠে বল গাড়াবে। অন্য ম্যাচটি হবে ১৭ জুলাই।
তিনি বলেন, গতবার পাকিস্তানের সাথে খেলায় মাঠে দর্শক খেলা দেখতে পারে নি। তবে এবার রাজশাহী দর্শকরা মাঠে বসেই খেলা দেখতে পারবে।
রাজশাহীতে আন্তর্জাতিক ম্যাচ গাড়নো রাজশাহীর যুবাদের বেশ আগ্রহী করে তুলবে বলে মনে করছে ক্রিড়া বিশেষজ্ঞারা।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ব খালেদ মাসুদ পাইলট বলেন, রাজশাহীতে এর আগেও একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ গাড়িয়েছে। কিছু দিন পর আবারও দুটি ম্যাচ গাড়াছে। রাজশাহীতে এখাবে ভেন্যু করা হলে রাজশাহীর ক্রিড়া অঙ্গন আগ্রহী করে তুলবে। বিশেষ করে তরুন খেলোয়াড়দের আগ্রহ বাড়বে। তবে খেলা আনার পাশাপাশি খোলোয়াড় তৈরিতে মনোযোগ দিতে হবে।
এদিকে খেলাকে কেন্দ্র করে রাজশাহীর শহীদ এ এইচ এম কামরুজ্জামান বিভাগের স্টেডিয়াম ও প্লেয়ারদের হোটেলগুলোতে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যাবস্থা। মোতায়েন করা হয়েছে বিশেষায়িত ফোর্স সিআরটি।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রফিকুল আলম বলেন, বাংলাদেশ ও আফ্রিকার লেখাকে কেন্দ্র করে মাঠে ও এর বাহিরে ৩ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও সাদা পোষাকেও মাঠে পুলিশ মোতায়ন করা থাকবে। এখানে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।