বাংলার কথা ডেস্ক
রংপুর-৩ আসনে লাঙ্গলের প্রার্থীর দেওয়া টাকা ভাগবাটোয়ারা নিয়ে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও গালমন্দ করার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেত্রী সেখানে লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন বলে কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
আজ শনিবার (৬ জানুয়ারি) থানায় লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর কোতোয়ালি থানার ওসি মুনতাসির বিল্লাহ। এর আগে, গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগকারী হলেন—রংপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য পারভীন আক্তার। অভিযোগে তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেনকে অভিযুক্ত করেছেন।
অভিযোগে পারভীন আক্তার উল্লেখ করেন, গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে তিনি জানতে পারেন রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে লাঙ্গলের প্রার্থীর দেওয়া পাঁচ লাখ টাকা ভাগবাটোয়ারা হচ্ছে। মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক আবুল কাশেমকে ফোন করে বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে পারভীন সেখানে যান। তখন মাহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমত আরা বর্না জানান যে পারভীনকে ১০ হাজার টাকা দিতে চান মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ডা. দেলোয়ার হোসেন।
পারভীন ওই টাকা নিতে রাজি না হওয়ায় এবং লাঙ্গলের টাকা বিতরণ না করতে বলায় দেলোয়ার ক্ষুদ্ধ হয়ে পারভীনকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করেন। একপর্যায়ে ধাক্কা দিয়ে পারভীন, বর্নাসহ অন্যদের বের করে দেন। বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি-ধামকি দেন।
এ বিষয়ে পারভীন আক্তার বলেন, ‘দেলোয়ার ভাই লাঙ্গল মার্কা থেকে বেশ বড় অংকের টাকা নিছে। সেই টাকার ভাগ করার সময় আমার সিদ্ধান্ত চাইছে, আমি বলেছি টাকা নেব না। এটাই আমার অপরাধ। এজন্য আমার ওপর দেলোয়ার ভাই ও তাঁর লোকজন চড়াও হয়ে ধাক্কাধাক্কি, হুমকি দিয়েছে। এ জন্য থানায় অভিযোগ করেছি।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ডা. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘পারভীন মহানগর আওয়ামী লীগের কিছু না। যা করা হয়েছে, সবাই মিলে করা হয়েছে। ও জিজ্ঞেস করার কে? ওকে টাকার ভাগ দেওয়া লাগবে নাকি। আমার মহানগর আওয়ামী লীগের প্রেসিডেন্ট, সেক্রেটারি আছে, তাদের টাকা দিছি। ওকে (পারভীন) দেব কেন?’
রংপুর কোতোয়ালি থানার ওসি মুনতাসির বিল্লাহ জানান, এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী পারভীন আক্তার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
উল্লেখ্য, রংপুর-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী তুষার কান্তি মন্ডলকে প্রত্যাহার করে লাঙ্গলের জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ আসনে জিএম কাদেরের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বি তৃতীয় লিঙ্গের স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ারা ইসলাম রানী। এখানে নৌকার প্রার্থী না থাকায় জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের একাংশের নেতারা ভোটারদের কাছ লাঙ্গলের পক্ষে ভোট চাইছেন।
সূত্র: আজকের পত্রিকা
বাংলার কথা/জানুয়ারি ০৬, ২০২৪