ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে জি-২০ জোটের ‘পর্যটন বিষয়ক’ বৈঠক বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে চীন। দেশটি জানিয়েছে, বিরোধপূর্ণ অঞ্চলে অনুষ্ঠিত কোনো বৈঠকে তারা অংশ নেবে না।
বিশ্বের ২০ বৃহৎ অর্থনীতির দেশ নিয়ে গঠিত জোট হলো জি-২০। রোটেশন ভিত্তিতে এ বছর জোটটির প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছে ভারত। এর অংশ হিসেবে দেশটি বিভিন্ন জায়গায় বৈঠকের আয়োজন করছে। আর জি-২০ জোটের পর্যটন বিষয়ক বৈঠকের স্থান হিসেবে কাশ্মীরকে বেঁছে নিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার।
তবে পাকিস্তান ও চীন শুরু থেকেই এর বিরোধীতা করে আসছিল। হিমালয়ের কাছে অবস্থিত কাশ্মীরের অর্ধেক নিয়ন্ত্রণ করে ভারত আর বাকি অর্ধেক রয়েছে পাকিস্তানের অধীনে। তবে দুই দেশই পুরো কাশ্মীরকে নিজেদের অঞ্চল হিসেবে দাবি করে।
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভের পর কাশ্মীর নিয়ে তিনবার যুদ্ধে জড়িয়েছে ভারত-পাকিস্তান।
কাশ্মীরে জি-২০ বৈঠক বয়কটের ঘোষণা দিয়ে শুক্রবার (১৯ মে) চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেছেন, ‘বিরোধপুর্ণ অঞ্চলে জি-২০ জোটের যে কোনো বৈঠকের তীব্র বিরোধীতা করে চীন এবং এ ধরনের বৈঠকে আমরা অংশ নেব না।’
এদিকে ২০১৯ সালে মোদি সরকার কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রহিত করে এবং এটিকে ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার অধীনে নিয়ে আসে। এরপর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার সম্পর্ক আরও খারাপ হয়েছে।
ভারতের নিয়ন্ত্রণে কাশ্মীরের যে অংশটি রয়েছে সেখানে স্বাধীনতাপন্থি কিছু সশস্ত্র দল রয়েছে। তারা ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্র অথবা পাকিস্তানের সঙ্গে এক হতে চায়।
এদিকে কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরে হবে জি-২০ জোটের পর্যটন বিষয়ক বৈঠকটি। এর অংশ হিসেবে সেখানে নিরাপত্তা জোরদার করেছে ভারত। অঞ্চলটিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বিশেষ সেনা কমান্ডোদের। আগামী ২২ থেকে ২৪ মে হবে বৈঠকটি। এতে ৬০ জন প্রতিনিধি অংশ নিতে পারেন। চীন ছাড়াও তুরস্ক ও সৌদি আরবও কাশ্মীরের বৈঠকটি বয়কট করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।