নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশর ইতিহাসে একসাথে ৩০টি দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা একটি রেকর্ড বলে মন্তব্য করেছেন রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী আসাদুজ্জামান আসাদ। রোববার দুপুরে রাজশাহীর মোহনপুরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে উপজেলা ছাত্রলীগের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আমেরিকার একটা বড় চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে, যেভাবে পদ্মা সেতুর চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছিলেন। বাংলাদেশের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে যাবে। কোন দল আসলো আর কোন দল গেল সেটা মানুষ দেখবে না। নির্বাচন মানেই উৎসবমুখর পরিবেশ, সেই পরিবেশটা তৈরিতে আপনাদের সহযোগিতা করতে হবে। আমরা প্রাথমিকভাবে বিজয় লাভ করেছি। বাংলাদেশের ইতিহাসে কখনও ৩০টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল আগে কখনও একসঙ্গে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেটা হচ্ছে। পবা-মোহনপুর আসনে একসাথে ১১ জন মানুষ মনোনয়ন দাখিল করেছে বলে আমার জানা নেই। দ্বিতীয় বিজয়ের জন্য সর্বোচ্চ ভোটার আনার কাজটি ছাত্রলীগকে করতে হবে। যারা ছাত্রলীগ করো মাদক থেকে দূরে থাকতে হবে। মাদক ছাড়া যদি ছাত্রলীগ থাকে সেখানে আমার ১০ জন কর্মীই যথেষ্ট, ১০০ কর্মীর প্রয়োজন নেই। পবা-মোহনপুরের ছাত্রলীগ সারা বাংলাদেশের মডেল হোক।
আসাদ বলেন, ছাত্রলীগই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রকৃত সৈনিক। শেখ হাসিনাকে রক্ষার জন্য একাধিকবার জীবন দিয়েছে ছাত্রলীগের ছেলেরা। আওয়ামী লীগকে ৭৫-র পরে রাজপথ উত্তপ্ত করেছে ছাত্রলীগ। সেই ছাত্রলীগের বন্ধুরা এখন কেন পিছিয়ে থাকে? ছাত্রলীগ করলে আদর্শিক কর্মী হতে হবে, আদর্শিক কর্মী না হতে পারলে ছাত্রলীগ করার দরকার নেই।
তিনি আরো বলেন, ছাত্রলীগই আওয়ামী লীগের মূল ভরসা। ছাত্রলীগের প্রতি আমার দুর্বলতাও আছে, আবার দুঃখও আছে। আমরা যারা ছাত্রলীগ করেছি নিজেদের গর্বিত মানুষ মনে করতাম, এখন যারা ছাত্রলীগ করেন গর্বিত মনে করেন কি না জানি না। আমার সাথে থেকে ছাত্রলীগ করতে হলে লেখাপড়া করতে হবে। আমি জানি না, এখানকার কতজন বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পড়েছেন। দয়া করে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পড়ে নিবেন। যদি বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী না পড়া হয় তবে ছাত্রলীগের কোনো পর্যায়েরই নেতা হতে পারবেন না। ভোট তো পরে, আগে আদর্শিক কর্মী হতে হবে। শেখ হাসিনার যতো উন্নয়ন কার্যক্রম মানুষ এমনিতেই ভোট দিবে।
ছাত্রলীগের নেতাদের উদ্দেশ্যে আসাদ বলেন, নিজেদের বিক্রি করা যাবে না, ছাত্রলীগ নিজেকে বিক্রি করে না। ছাত্রলীগ উপার্জন করে সংগঠনকে দেয়, সেটি হলো আদর্শিক উপার্জন। রাজনীতি আদর্শের জায়গা, প্রতিশোধের জায়গা নয়।নির্বাচনটি অত্যন্ত সুষ্ঠু এবং সুশৃঙ্খলভাবে করতে হবে। নির্বাচনের আজকের যে পরিবেশ আগামীকাল না ও থাকতে পারে। সে পরিবেশ ভোটের দিন পর্যন্ত রাখার দায়িত্ব ছাত্রলীগসহ সকলের। নির্বাচনী প্রাচারণায় মূল ভুমিকায় থাকতে হবে ছাত্রলীগকে। অন্যায়ভাবে কেউ যদি আমাদের নেতাকর্মীদের উপর আক্রমণ করে সে দলের অভ্যন্তরের কেউ হোক আর বাহিরের কেউ হোক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মতবিনিময় সভায় মোহনপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিপন শেখের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন, মোহনপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মফিজ উদ্দিন কবিরাজ, মোহনপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মেহেবুব হাসান রাসেল, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শরিফুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান মাষ্টার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক সানোয়ার হোসেন সরকার, সাবেক ছাত্রনেতা জামাল উদ্দিন বিশ্বাস, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি বিন বিল্লাহ, ঘাসিগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আফজাল হোসেন বকুল, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সাগর প্রমুখ।