• ঢাকা, বাংলাদেশ শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০১:২৮ অপরাহ্ন

ফুসলিয়ে অপহরণ, ধর্ষণের পর হত্যা, কানের দুল খুলে নিয়ে পালায় বখাটে

রিপোর্টার নাম:
আপডেট সোমবার, ৩ জুলাই, ২০২৩

রাজশাহীতে বখাটের লালসার শিকার শিশুর মরদেহ মিললো পুকুরে

নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজশাহীতে অপহৃত এক শিশুর মরদেহ পুকুর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার ভোর ৬ টার দিকে নগরীর ছোটবনগ্রাম খোরশেদের মোড় এলাকার একটি পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শিশুটির নাম আন্নিকা আক্তার মায়া। তার বয়স ৯ বছর। সে নগরীর নওদাপাড়া এলাকার রিকশা ভ্যান চালক আজিম উদ্দিনের মেয়ে। এ ঘটনায় বড় বনগ্রাম এলাকার পলাশ শেখ (৩৫) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আন্নিকার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে শনিবার বিকেল চারটার দিকে বাড়ি থেকে বের হয় আন্নিকা। বাড়িতে না ফেরায় ঐ দিনগত রাতেই আন্নিকার বাবা আজিম উদ্দিন নগরীর শাহমখদুম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার নূর আলম সিদ্দিকী জানান, গ্রেপ্তারকৃত পলাশ বখাটে গোছের। সে আগে থেকেই আন্নিকাকে চিনত। গত শনিবার বিকেল ৫টার দিকে ঈদ সালামি দেয়ার কথা বলে ফুসলিয়ে নওদাপাড়া এলাকা থেকে আন্নিকাকে নিয়ে যায় পলাশ। তাকে বাজার এলাকাসহ বিভিন্নস্থানে ঘুরিয়ে সন্ধ্যার পর ছোটবনগ্রাম এলাকার একাটি পুকুর পাড়ে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এসময় শিশুটি চিৎকার করলে পলাশ তার গলা ও মুখ চেপে ধরে। কিছুক্ষনের মধ্যেই মেয়েটি মারা গেলে পলাশ তার কানে থাকা স্বর্নের দুল খুলে নেয়। এরপর পাশে পড়ে থাকা একটি একটি কাপড় দিয়ে তাকে জড়িয়ে পুকুরে ফেলে পালিয়ে যায়।
উপ পুলিশ কমিশনার নূর আলম সিদ্দিকী বলেন, আন্নিকাকে খুঁজে না পেয়ে শনিবার রাতেই তার বাবা আজিম উদ্দিন নগরীর শাহমখদুম থানায় যে সাধারণ ডায়েরি করেন তার সূত্র ধরেই তদন্তে নামে পুলিশ। শাহমখদুম থানার পুলিশের একটি দল বিভিন্ন জায়গার সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষন করে দেখতে পায় যে, বিকেল ৫টার দিক থেকে মেয়েটিকে সাথে করে ঘুরছে পলাশ। মেয়েটিকে সালামি দেয়ার কথা বলে তার সাথে প্রতারণা করায় মেয়েটি হাসি খুশি হয়েই তার সাথে ঘুরছিলো। তাকে নিয়ে সে দোকানেও যায়। অনেক ঘোরাঘুরির পর সন্ধ্যার দিকে সে মেয়েটিকে নিয়ে ছোটবনগ্রাম এলাকার দিকে যায়। সিসি ক্যামেরার সূত্র ধরেই পলাশের খোঁজ শুরু করে পুলিশ। সোমবার ভোর ৪টার দিকে নাটোর শহরের একটি যাত্রী ছাউনি থেকে পলাশকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পলাশ পুলিশকে জানিয়েছে, সে আন্নিকার কানের গহনাটি এক সোনার দোকানদারকে দিয়ে ১৫শ টাকা নিয়েছে। সেই টাকা নিয়েই সে নাটোরে পালিয়ে যায়। নাটোরে গিয়ে সে হোটেলে কাজ করার জন্য একাধিক হোটেলে যায় কিন্তু কাজ পায়নি। পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর সে আন্নিকাকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বিকার করে। পুলিশ তাকে নিয়েই সোমবার ভোরে ছোটবনগ্রাম খুরশেদের মোড়ে যায়। সেখানকার একটি পুকুর থেকেই ভোর ৬টার দিকে আন্নিকার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার নূর আলম সিদ্দিকী জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া পলাশ বখাটে হিসেবে পরিচিত। নগরীর শাহমখদুম থানায় তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনের একটি মামলা রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরিতে আরো নিউজ