নিজস্ব প্রতিবেদক
এগার দফা দাবীতে সংক্ষুব্ধ প্রতিবন্ধী নাগরিক সমাজের ব্যানারে বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচী পালিত হয়। কর্মসূচীতে প্রতিবন্ধী নেতৃবৃন্দ বলেন, তাদের দাবী দাওয়া আদায়ের লক্ষে ঢাকা আন্দোলন কর্মসূচী থেকে তারা ১৪জুন পর্যন্ত সরকারকে আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ গ্রহন না করায় তারা এই ঘেরাও কর্মসূচী পালন করেন।
উপস্থিত নেতৃবৃন্দ বলেন, তারা সরকারকে এগার দফা দাবী দিয়েছেন। দাবী গুলো মধ্যে রয়েছে চলতি বাজেট (২০২৩-২৪) জাতীয় বাজেটেই প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ভাতা নূন্যতম ৫০০০ টাকা এবং শিক্ষা উপবৃত্তি মাসিক ২০০০ করা, সরকারী চাকরিতে নিয়োগ বিশেষ নীতিমালা প্রদান করা, চলতি বাজেটেই বাংলাদেশ ব্যাংকে ১০০০ কোটি টাকার প্রতিবন্ধী ব্যক্তি উদ্যোক্তা তহবিল গঠন করা, অনতিবিলম্বে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি অধিদপ্তরকে কার্যকর করা, বাংলা ইশারা ভাষা ইন্সটিটিউট প্রণয়ন বাংলা ইশালা যুক্ত সমন্বিত শিক্ষা কার্যক্রম চালু এবং বিদ্যালয়, আদালতসহ সকল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে বিানমূল্যে বাংলা ইশারা ভাষার দোভাষী সেবা নিশ্চিত করা।
শিক্ষা ও চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় অভিন্ন জাতীয় শ্রুতিলেখক নীতিমালার দাবী, নিরন্ন, শ্রমজীবী-মেহনতি প্রতিবন্ধী মানুষের একটি বাড়ি একটি খাসার ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে আত্মনির্ভশীল করা, গুরুতর প্রতিবন্ধী মানুষের স্বাস্থ্য ও কেয়ারগিভার ভাতা চালু করা, প্রবেশগম্য অবকাঠামো এবং গলপরিবহন নিশ্চিতে সুনির্দিষ্ট অর্থ বরাদ্দ করা, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জাতীয় সংসদ, স্থানীয় থেকে জাতীয় সকল পর্যায়ে প্রতিবন্ধী মানুষের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা ও মন্ত্রণারলভিত্তিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি সংবেদনশীল বাজেট দেয়া।
ঘেরাও কর্মসূচীতে সভাপতিত্ব করেন কল্পনা প্রতিবন্ধী সংস্থার সভাপতি সোহেল রানা। উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বধির ফোরামের সভাপতি ফারুক হোসেন, স্বনির্ভর প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি মোনিমুল ইসলাম, কল্পনা প্রতিবন্ধী সংস্থার নির্বাহী সদস্য ফাতেমা, সিআরপি এর প্রতিনিধি পলাশ কুমার, বাধন সংস্থার সভাপতি মুকুল ও সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলামসহ প্রতিবন্ধী নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ প্রতিবন্ধীবর্গ। এই দাবী না মানলে আগামীতে আরো কঠোর কর্মসূচী দেয়া হবে বলে উল্লেখ করেন তারা।