বাংলার কথা ডেস্ক
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-২ আসনে (সিংগাইর-হরিরামপুর- সদরের ৩ ইউনিয়ন) নৌকার টিকিট পেয়েও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে কুপোকাত মমতাজ বেগম। স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর সঙ্গে ভোটযুদ্ধে হেরে গেছেন এই জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী।
ভোটার ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মমতাজের পরাজয়ের নেপথ্যে রয়েছে নানা কারণ। এর মধ্যে তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন, কমিটি গঠনে স্বেচ্ছাচারিতা, আত্মীয়করণ ও পদবাণিজ্য, নৌকা প্রতীকের নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যানদের অসম্মান, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম মহিউদ্দিনকে কটাক্ষ করে বক্তব্য প্রদান, এমপির বিশেষ বরাদ্দসহ টিআর কাবিখা, কাবিটা নামে-বেনামে লোপাট, বিতর্কিত ব্যক্তিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া এবং দীর্ঘ ১৫ বছরে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন না করা অন্যতম কারণ।
সেই সঙ্গে এমপি মমতাজের পারিবারিক ও ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বও ভোটারদের মধ্যে প্রভাব ফেলে। নিজের অনুসারী কর্মী বাহিনী দিয়ে স্বামী ডা. মঈন হাসানের ওপর হামলা ও সর্বশেষ তার বাবা প্রয়াত মধু বয়াতির প্রথম স্ত্রী ও তিন কন্যার প্রতি অবিচারের ঘটনায় মমতাজকে পড়তে হয় বেকায়দায়। তারা মমতাজের পক্ষ ত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী টুলুকে সমর্থন দেন।
এছাড়া নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় মমতাজ ও তার অনুসারীদের সভা-সমাবেশে দেওয়া আক্রমণাত্মক বক্তব্য ও বেসামাল কথাবার্তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় ফলাফলে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে বলেও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে সংরক্ষিত মহিলা আসনে এমপি হন মমতাজ। ২০১৪ সালে মানিকগঞ্জ-২ আসন থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ও ২০১৮ সালে এমপি হন তিনি।
সূত্র: যুগান্তর
বাংলার কথা/জানুয়ারি ০৮, ২০২৪