• ঢাকা, বাংলাদেশ শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০১:১৭ অপরাহ্ন

নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে কানাডার এমপির বক্তব্যের বিষয়ে যা বলল হাইকমিশন

রিপোর্টার নাম:
আপডেট সোমবার, ৮ জানুয়ারী, ২০২৪

বাংলার কথা ডেস্ক

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে কানাডার সংসদ সদস্য যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার সঙ্গে সরকারের সম্পৃক্ততা নেই বলে জানিয়েছে ঢাকায় দেশটির হাইকমিশন।

সোমবার (৮ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে হাইকমিশন একথা জানায়।

 

বিবৃতিতে হাইকমিশন বলেছে, ‘বাংলাদেশে ৭ জানুয়ারি ২০২৪ এ অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কানাডা সরকার কোনো নির্বাচন পর্যবেক্ষক প্রেরণ করেনি। পর্যবেক্ষক হিসেবে চিহ্নিত কানাডিয়ান নাগরিকদ্বয় স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছেন। নির্বাচন বিষয়ে তাদের প্রদত্ত মতামতের সঙ্গে কানাডা সরকারের সংশ্লিষ্টতা নেই।’

 

রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সারা দেশে একযোগে ২৯৯টি আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। এই নির্বাচনে চূড়ান্ত ভোটার উপস্থিতি ৪১.৮ শতাংশ বলে ইসি জানিয়েছে।

 

এই নির্বাচন পর্যবেক্ষণে দেশীয় পর্যবেক্ষকদের পাশাপাশি দেড় শতাধিক বিদেশি পর্যবেক্ষককে অনুমোদন দেয় ইসি। তাদের মধ্যে সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে পর্যবেক্ষণ করতে আসা পর্যবেক্ষকদের মধ্যে ছিলেন কানাডার হাউস অব কমন্সের সদস্য চন্দ্রকান্ত আরিয়া ও সিনেটর ভিক্টর ওহ।

 

ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণ শেষে সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে নিজেদের মূল্যায়ন তুলে ধরেন এই দুই কানাডীয় এমপি। তারা নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে প্রশংসা করেন।

 

পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের কথা তুলে ধরে চন্দ্রকান্ত আরিয়া বলেন, সব রাজনৈতিক দলের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের অবাধ ও সম্পূর্ণ সুযোগ থাকার বিষয় আমরা খতিয়ে দেখেছি ও নিশ্চিত হয়েছি। আমরা এটাও দেখেছি, অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভোটারদের কাছে প্রচারণার সুযোগ ছিল কিনা।

 

কোনো ধরনের বাধা ছাড়াই ভোটার ও নির্বাচনি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাওয়ার কথা তুলে ধরে চন্দ্রকান্ত আরিয়া সফলভাবে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে অভিনন্দন জানান।

 

বিরোধীদের নির্বাচন বর্জনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ভোট বর্জন করা কোনো রাজনৈতিক দলের কৌশলগত সিদ্ধান্ত, সেটা তারা নিজেদের স্বার্থে করে থাকে। তাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়ে মন্তব্য করা আমাদের কাজ নয়।’

 

এ সময় নিজ দেশের তুলনায় ৪০ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি কম নয় বলে মন্তব্য করেন কানাডার এই সংসদ সদস্য।

 

তিনি আরও বলেন, দুই বছর আগে কানাডার সবচেয়ে বড় প্রাদেশিক নির্বাচনে ৪৩ শতাংশ ভোট পড়েছিল। মানুষ বলেছে উপস্থিতি কম, কিন্তু কেউ এ বিষয়ে অভিযোগ করেনি। এক বছর আগে ফেডারেল নির্বাচনে ৫০ শতাংশ ভোট পড়েছিল। ভোটার উপস্থিতি কম হতে পারে, কিন্তু দিনশেষে আমাদেরকে দেখতে হবে রাষ্ট্র বা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে বাধা দিয়েছে কিনা। সেটা দেখা যায়নি। মানুষ ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বাধীন ছিল। রাজনৈতিক দলের সিদ্ধান্ত তারা ভোটে আসল কি, আসল না। ভোটের প্রক্রিয়াটা অবাধ ছিল, আমরা সেটাকে গ্রহণ করছি।

 

এই দুই এমপির এসব বক্তব্য কানাডা সরকারের বক্তব্য নয় বলে বিবৃতি দিয়ে স্পষ্ট করল ঢাকায় দেশটির হাইকমিশন।

 

সূত্র: যুগান্তর

 

বাংলার কথা/জানুয়ারি ০৮, ২০২৪


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরিতে আরো নিউজ