রাবি প্রতিনিধি
বর্ণিল আয়োজনে ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রশাসন। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে নবীন শিক্ষার্থীদের রজনীগন্ধা ফুল ও শিক্ষা সামগ্রী দিয়ে বরণ করে নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার।
অনুষ্ঠানের শুরুতে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. হারুন-অর-রশিদ কোরআন তেলাওয়াত, ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী পিয়াশ সাহা গীতাপাঠ, সংগীত বিভাগের বর্ষা চাকমা ত্রিপিটক ও নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী জয়া বাইবেল পাঠ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালামের সঞ্চালনায় নবীন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়ে রাবি উপাচার্য বলেন, শিক্ষা হচ্ছে জ্ঞান লাভের একটি প্রক্রিয়া ও ব্যক্তি সম্ভাবনার প্রকৃত শক্তি। শিক্ষার্থী তার অন্তর্নিহিত শক্তিকে সম্পদে পরিণত করে থাকে। শিক্ষা মানে বইয়ের মাঝে মাথা গোঁজানো নয়, শিক্ষা মানে মানব আত্মার বুদ্ধি। আমি নিশ্চিত যে তোমাদের মধ্যে যে অমিত সম্ভাবনা আছে এর পরিপূর্ণ বিকাশে তোমরা সজাগ হবে। তোমাদের যে আকাঙ্ক্ষা রয়েছে সেটা বাস্তবের রূপান্তর করবে।
তিনি আরও বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে প্রাচীনতম শক্তিশালী বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয় শুধু শিক্ষার জন্য সৃষ্টি হয়েছিল। এই উর্বর ভূমিতে যা কিছু পাবা সবই আহরণ কর। এখানে ভালো আছে খারাপও আছে, ভালোটাকে গ্রহণ করে মন্দকে বর্জন করতে হবে। শিক্ষকরা তোমাদের পথ দেখিয়ে দিবে, সে পথ ধরে তোমরা আলোকময় জগতের মানুষ হবে।
মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের নবীণ শিক্ষার্থী নাসরিফাতুন নাঈম বলেন, ভর্তি যুদ্ধ শেষে নীল সাদা বাসের মতিহারের সবুজ চত্বরে ভর্তির হতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছি। ৭৫৩ একরের এ ক্যাম্পারে প্যারিস রোড, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, প্রশাসনিক ভবন, কাজী নজরুল মিলনায়তন, শহীদ মিনারসহ প্রতিটি স্থান আমাকে মুগ্ধ করেছে। পাশাপাশি ক্যাম্পাসের বড় ভাই-বোন ও সম্মানিত শিক্ষকদের স্নেহপূর্ণ ভালোবাসায় আমরা মুগ্ধ।
নবীন বরণ এ অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড.সুলতান-উল-ইসলাম, অধ্যাপক হুমায়ুন কবির, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদ, প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হক, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম ও জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডেসহ প্রায় চার হাজার নবীন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।