নিজস্ব প্রতিবেদক
পাঠ্যপুস্তক উৎসব শুরু হয়েছে। অতিথিদের সঙ্গে ছবি তোলার জন্য মাঠভরা শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে একটি করে বই দেওয়া হয়েছে। সে বই পেয়েই উল্টেপাল্টে দেখতে লাগল তাউহিদুল ইসলাম সবুজ। নতুন বইয়ের গন্ধ নাকে শুকে তাউহিদুল পাশে থাকা সহপাঠী সাজিদ হোসেনকে বলল, ‘নতুন বইয়ের গন্ধটা আমার খুব ভাল্লাগে।’ সাজিদ বলল, ‘আমারও’।
‘নতুন বছরে নতুন দিন, নতুন বইয়ে হোক রঙিন’ প্রতিপাদ্যে রাজশাহীতে এবার সরকারিভাবে পাঠ্যপুস্তক উৎসব আয়োজন করা হয়েছিল শহরের অগ্রণী বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ে। তাউহিদুল ও সাজিদ এই স্কুলেই এবার সপ্তম শ্রেণিতে উঠেছে। বছরের প্রথম দিন হাতে নতুন বই পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করল তারা। তাদের মতো অন্য শিক্ষার্থীদের কোমল মনেও দোলা দিল খুশির ঢেউ। বোঝা গেল কয়েকজনের সাথে কথা বলে।
সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী মারুফ ইসলাম সোহান বলল, ‘নতুন বই পেয়ে আমার প্রচুর ভাল লাগছে। এখানেই সূচি দেখলাম। বাড়ি গিয়ে পুরনো বছরের ক্যালেন্ডার দিয়ে বইতে মলাট লাগাব।’ পঞ্চম শ্রেণিতে ওঠা শিক্ষার্থী ঐশ্বর্য্য জাহান বলল, ‘চতুর্থ শ্রেণিতে অনেক পড়াশোনা করেছি। কষ্ট করে পরীক্ষা দিয়েছি। তারপর পরের শ্রেণির নতুন বই হাতে পাওয়া তো খুব আনন্দের।’
প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উঠেছে তাসনুভা তাবাসসুম। সে বলল, ‘আমিও নতুন বই নিয়েছি। বই খুব সুন্দর। অনেক ভাল।’ তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী তাউসিফ আহেমদ বলল, ‘নতুন বই পাব বলে দুদিন ধরেই আজকের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। সকাল সকাল চলে এসেছি আম্মুর সাথে। এখন বই পেয়ে আমার অনেক ভাল লাগছে। আম্মুও খুশি।’
করোনার কারণে গত দুইবছর পাঠ্যপুস্তক উৎসব হয়নি। এবার স্কুলটিতে পাঠ্যপুস্তক উৎসবের আয়োজন করেছিল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষার রাজশাহী অঞ্চল। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বেলুন, ফেস্টুন ও পায়রা উড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন। পরে স্কুলের বিভিন্ন শ্রেণির প্রথম থেকে তৃতীয় হওয়া শিক্ষার্থীদের হাতে এক সেট করে নতুন পাঠ্যবই তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহীর অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার এএনএম মইনুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষার রাজশাহী অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. মাহবুবুর রহমান শাহ, জেলা শিক্ষা অফিসার মোহা. নাসির উদ্দিন, অগ্রণী বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ে সভাপতি মোশাররফ হোসেন বাচ্চু, অধ্যক্ষ মো. সাইফুল হক প্রমুখ।
প্রথম দিন সবাই দু’একটি করে হলেও বই পেয়েছে। কেউ কেউ দু’একটি ছাড়া প্রায় সব বই পেয়েছে।