গুজরাটের ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্য গরবা ইউনেস্কোর অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে মনোনীত হওয়া উপলক্ষে রাজশাহীতে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজশাহীস্থ ভারতীয় সহকারী হাকমিশন চ্যান্সারি প্রাঙ্গনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক পর্বে অংশ নেন নিক্কন শিল্পী গোষ্ঠী, রাজশাহীর শিল্পীরা।
রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমার গারবা লোকনৃত্য ঐতিহ্য তুলে ধরে বলেন, “গরবা হল জীবন, ঐক্য এবং আমাদের মূল সংস্কৃতির উদযাপন। ইনট্যানজিবল হেরিটেজ লিস্টে এর অন্তর্ভুক্তি হওয়ায় এবার বিশ্বের কাছে ভারতীয় তথা এই উপমহাদেশের সংস্কৃতির সৌন্দর্য প্রদর্শিত হবে। এই সম্মান আমাদের ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও প্রচার করতে ভবিষ্যত প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে। গরবার বিশ্বব্যাপী এই স্বীকৃতি আমাদের সকলের জন্য গৌরবের। এসময় মনোজ কুমার গতকাল ৬ ডিসেম্বর উদযাপিত মৈত্রী দিবসের তাৎপর্যের উপরে আলোকপাত করেন। তিনি বলেন,ভারত-বাংলাদেশ ঐতিহাসিক সম্পর্ক শুধু কূটনৈতিক, রাজনৈতিক আর অর্থনৈতিক নয়- আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক হচ্ছে আত্মিক, পারস্পরিক সমতা ও ন্যায্যতার। শাশ্বত বন্ধুত্ব উল্লেখ করে সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমার আরো বলেন যে ভারত সবসময় বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় ও সম্প্রীতিপ্রিয় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র দাস,বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহা, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বিজয় বসাক,চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য আনিকা ফারিহা জানান অর্ণা।
উল্লেখ্য যে, বর্তমানে ভারতের ১৪ টি সংস্কৃতি রয়েছে যা ইউনেস্কোর অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত ৷ যার মধ্যে অন্যতম রামলীলা, বৈদিক মন্ত্র, কুম্ভ মেলা এবং সাম্প্রতিককালে যুক্ত হওয়া বাংলার দুর্গোৎসব। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল গুজরাতের অতিপ্রাচীন লোকনৃত্য গরবা।