ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার শাসক দল হামাসের হামলা এবং এর জবাবে গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত বিমান হামলার মধ্যে বুধবার ফোনালাপ করেছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ও ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম প্রেস টিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ফোনালাপে সৌদির কার্যত শাসক ও ইরানের রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ইসরায়েলি সরকারের অপরাধ এবং তাতে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ইসরায়েল ও দেশটির সমর্থকদের জন্য ‘ধ্বংসাত্মক নিরাপত্তাহীনতা’ ডেকে আনবে।
ফোনালাপে দু্ই নেতা কী নিয়ে কথা বলেছেন, তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (টুইটার) দেয়া পোস্টে জানিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্টের রাজনৈতিকবিষয়ক ডেপুটি চিফ অফ স্টাফ মোহাম্মদ জামশিদি।
তিনি এক্সে লিখেন, ইরানের প্রেসিডেন্ট ও সৌদি যুবরাজের মধ্যে ফোনালাপে উভয়ই ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধাপরাধ’ বন্ধের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে একমত হয়েছেন। ইসলামি ঐক্যের ওপর দুই নেতা জোর দিয়েছেন। উভয়ই মনে করেন, ইসরায়েলের অপরাধ এবং তাতে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ইসরায়েল সরকার ও তার সমর্থকদের জন্য ধ্বংসাত্মক নিরাপত্তাহীনতা ডেকে আনবে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে অতর্কিত হামলায় চালায় হামাস। এ হামলায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়।
ওই হামলার জবাবে গত ছয় দিন ধরে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। এ হামলায় নিহত বেড়ে ১ হাজার ২০০ জনে দাঁড়িয়েছে।
গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখার পাশাপাশি খাদ্য, পানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য প্রবেশের পথ বন্ধ রেখেছে ইসরায়েল। উপত্যকার একমাত্র বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের প্রয়োজনীয় জ্বালানি ফুরিয়ে গেছে। এমন বাস্তবতায় ভয়াবহ বিপর্যয়ে পড়েছে অবরুদ্ধ ভূখণ্ডটির ২৩ লাখ বাসিন্দা।