• ঢাকা, বাংলাদেশ শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:৩০ অপরাহ্ন

ইউনিসেফ এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ এক লাখ শিশুকে শেখানো হবে আত্মরক্ষার কৌশল

রিপোর্টার নাম:
আপডেট বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক

নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে আত্মরক্ষার কৌশল প্রশিক্ষণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ইউনিসেফ এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। এ কর্মসূচির আওতায় দেশের ৩৭টি জেলার ১ লাখ শিশুকে আত্মরক্ষার কৌশল শেখানো হবে। ৯ থেকে ১৮ বছর বয়সী এই শিশুদের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশই থাকবে মেয়েরা। চলতি মাসেই মাঠপর্যায়ে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু হতে যাচ্ছে। এই ৩৭ জেলার মধ্যে ১২টি সিটি করপোরেশনও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। রাজশাহী বিভাগের জয়পুরহাট ছাড়া অন্য ৭ জেলাতেই কর্মসূচি চলবে। এ ৭ জেলায় আত্মরক্ষার কৌশল বা সেলফ ডিফেন্স যারা শেখাবেন সেই ৪২ জন প্রশিক্ষককেও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাজশাহীর পবা উপজেলার ভুগরইল এলাকায় ব্র্যাক লার্নিং সেন্টারে প্রশিক্ষকদের এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। সেখানে প্রশিক্ষণের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ইউনিসেফের এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ‘সুবর্ণরেখা’। আগামী এক বছর প্রকল্পের কার্যক্রম চলবে। এই সময়ে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে পিছিয়ে পড়া শিশুদের চারদিন করে আত্মরক্ষার কৌশল শেখানো হবে। চারদিনে প্রশিক্ষণের সময়সীমা হবে ৬ ঘণ্টা। এই ৬ ঘণ্টাতেই শিশুরা আত্মরক্ষার অনেক কৌশল শিখতে পারবে। এ কর্মসূচিতে প্রতিবন্ধী শিশুরাও অংশ নিতে পারবে। যে প্রতিবন্ধী শিশুরা অংশ নিতে না পারবে তারা দেখবে। অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, বাংলাদেশে প্রতি ১০ জন শিশুর ৯ জন শারীরিক ও মানসিকভাবে পরিবার, শিক্ষক এবং পরিচিতজনের দ্বারা নির্যাতিত ও শোষিত। ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী ৭ শতাংশ শিশু বিভিন্ন জায়গায় শিশুশ্রমের সাথে জড়িত। এখন ২২ থেকে ২৪ বছর বয়সী নারীদের ৫১ শতাংশই তাদের ১৮ বছরের জন্মদিন পালন করার আগেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন।

এ প্রকল্পের আওতায় শিশুদের আত্মরক্ষার কৌশল শেখানো হবে এবং ৫ লাখের বেশি অভিভাবককে তাদের শিশুদের এ সুযোগ দিতে উদ্বুদ্ধ করা হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেইন বলনে, ‘এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে নারী ও শিশুদের আত্মরক্ষার কৌশল শেখানো। যার মাধ্যমে সে নিজেকে রক্ষা করতে পারবে এবং আক্রমণকারীর হাত থেকে বেঁচে ফিরবে। এটি অনেক বড় একটি উদ্যোগ।’ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘এই কর্মসূচি নারী ও শিশুদের আত্মবিশ্বাসী করবে। নারী ও শিশুদের বিভিন্ন নির্যাতন থেকে রক্ষা করবে। সমাজের দুর্বল ও প্রান্তিক নারী এবং শিশুদের আগামী দিনে সমাজের প্রথম সারিতে নিয়ে আসবে। তাই প্রশিক্ষকদের আন্তরিক থাকতে হবে।’ অনুষ্ঠানে সুবর্ণরেখার ডিরেক্টর জেনারেল তোফাজ্জল হোসেইন, মাস্টার ট্রেইনার কাজল দাস, কর্মসূচি সমন্বয়কারী মিটুন শর্মা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরিতে আরো নিউজ