নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজেকে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) পরিচয় দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আদায়ের ঘটনায় এক যুবককে তিন বছরের কারদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার সকালে রাজশাহী বিভাগীয় সাইবার ট্রাইবুনালের বিচারক জিয়াউল হক এই রায় ঘোষনা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত যুবক হলেন, মোঃ রাকিবুল ইসলাম(২২)। তিনি লালমনিরহাট জেলার কালিগঞ্জ থানার মহিষামুড়ি এলাকার মোকছেদ আলীর ছেলে। রাজশাহীর সাইবার ট্রাইবুনাল আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ইসমতারা বেগম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন ।
তিনি বলেন, গত বছরের জুলাই মাসে মামলার বাদী দুর্গাপুর উপজেলার দেবীপুর এলাকার সামছুল ইসলামের কাছে মোবাইল ফোনে নিজেকে ইউএনও পরিচয় দেন রাকিবুল। এরপর তিনি বৃক্ষরোপন কর্মসূচী প্রকল্প পাইয়ে দেওয়ার জন্য ইউএনও সেজে ২৮ হাজার টাকা মেবাইল ব্যাকিংকের মাধ্যমে হাতিয়ে নেন। এর পর দিন তিনি আরও একজনকে সাথে প্রকল্প দিতে চান এবং সামছুল ইসলামকেই খুঁজতে বলেন। এবং তার কাছেও কিছু টাকা চান। এতে সন্দেহ হলে তারা রাজশাহী জেলার দুর্গাপুর উপজেলার ইউএনওর সাথে দেখা করে ঘটনা খুলে বলেন। সেখান থেকে আসামীকে ফোন দিলে তিনি ফোন কেটে দেন এবং বন্ধ করে দেন। পরে ইউএনওর কাছে থেকে জানতে পারেন ইউএনওর মোবাইল নম্বর ক্লোনিং অথবা ভিওআইপি নম্বরিং করে তাদের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। এই ঘটনায় সামছুল ইসলাম বাদী হয়ে রাজশাহীর দুর্গাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
সেই মামলায় আসামী রাকিবুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে আনীত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এর ২৩ (১)/২৪(১) ধারার অপরাধ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমানিত হওয়ায় তাকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এর ২৩ (২) ধারায় ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৩ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ২৪(২) ধারায় ১ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১ এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৩ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছে আদালত। একই সাথে এই মামলার অন্য দুই আসামী মোঃ মাইদুল ইসলাম মিলন ও মোঃ সাইদুল ইসলাম বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এর ২৩(১)/২৪(১) ধারার অপরাধ প্রমানিত না হওয়ায় তাদেরকে খালাস দিয়েছে আদালত।