ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি
টানা চার ঘন্টা অবরোধ করে রাখার পর অবশেষে পদত্যাগ করলেন পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যন আতিয়া ফেরদৌস কাকলী।
রবিবার (১৮ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কার্যালয়ে ভাইস চেয়ারম্যান কাকলীকে অবরুদ্ধ করে রেখে পদত্যাগ দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঈশ্বরদী শাখার সমন্বয়ক তাসনিম মাহবুব প্রাপ্তি বলেন, গত ৪ আগষ্ট রেলগেটে এক দফা দাবিতে ছাত্র-জনতার আন্দোলন কর্মসূচিতে মেয়েদের সঙ্গে ভাইস চেয়ারম্যান আতিয়া ফেরদৌস কাকলীর নেতৃত্বে অন্যান্যরা চরম অসৌজন্যমুলক আচরণ করেন। ধস্তাধস্তি পর্যন্ত করেন। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর রবিবার সকালে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাকলী উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে নিজের কার্যালয়ে আসেন। আমরা বিষয়টি জানতে পেরে সেখানে উপস্থিত হয়ে তার পদত্যাগ দাবি করি। কিন্তু তিনি রাজি না হয়ে ইউএনও’র কক্ষে অবস্থান নেন। বাধ্য হয়ে সেখানেই তাকে অবরোধ করে রেখে পদত্যাগ দাবি করা হয়। দীর্ঘ ৪ ঘন্টার পর বাধ্য হয়ে তিনি পদত্যাগপত্র ইউএন নিকট জমা দিয়ে চলে যান।
তাসনিম মাহবুব প্রাপ্তি আরও বলেন, নতুন করে স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশে জনপ্রতিনিধি হিসেবে বিনাভোটে নির্বাচিত স্বৈরাচারি সরকারের কোন জনপ্রতিনিধি থাকতে পারবে না।
ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুবীর কুমার দাস উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আতিয়া ফেরদৌস কাকলীর পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে আতিয়া ফেরদৌস কাকলী দুপুর সাড়ে তিনটায় পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। পরবর্তি পদক্ষেপের জন্য তার পদত্যাগপত্রটি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হবে।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ ত্যাগে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকেই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমদাদুল হক রানা সরদার, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আতিয়া ফেরদৌস কাকলী পরিষদে অনুপস্থিত ছিলেন।
বাংলার কথা/শেখ মেহেদী হাসান/আগস্ট ১৮, ২০২৪