বাংলার কথা ডেস্ক
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় দোকান কর্মচারী শাহজাহান আলীকে হত্যার অভিযোগের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে দশদিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
তবে রিমান্ড আবেদন শুনানির সময় কোনো আইনজীবী পাননি আসামিপক্ষ (সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হক)।
আদালসূত্রে জানা যায়, তাদের পক্ষে শুনানি করতে কোনো আইনজীবী রাজি হননি।
আজ বুধবার (১৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদের আদালত রিমান্ড শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এর আগে বিকেল ৬টা ২৫ মিনিটে আদালত প্রাঙ্গণে আনিসুল ও সালমানকে বহনকারী প্রিজনভ্যান পৌঁছলে শত শত সাধারণ জনতা ও আইনজীবী আসামিদের উদ্দেশে ডিম নিক্ষেপ করেন।
আসামিদের বিচার চেয়ে ঢাকা বারের সভাপতি খুরশীদ আলম মিয়া বলেন, এরা (সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হক) ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। এরা শিশু-কিশোরের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে দেশ শাসন করতে চেয়েছিল।
এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নৌপথে পালানোর সময় রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ১৬ জুলাই কোটা আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় পাপোশের দোকানের কর্মচারী শাহজাহান আলীকে হত্যার অভিযোগে তার মা আয়শা বেগম মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়েছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা পদে নিয়োগ পান ঢাকা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও শিল্পপতি সালমান ফজলুর রহমান ওরফে সালমান এফ রহমান। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পরও তাকে একই পদে বহাল রাখা হয়। ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা) আসন থেকে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আনিসুল হক। ওই মেয়াদেই তাকে আইনমন্ত্রী করে সরকার। এরপর থেকে তিনি আইনমন্ত্রীর পদে ছিলেন।
সূত্র: এনটিভি অনলাইন
বাংলার কথা/আগস্ট ১৪, ২০২৪