• ঢাকা, বাংলাদেশ শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৪০ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
রাজশাহীতে সাবেক এমপিকে বহনকারী প্রিজনভ্যানে হামলা পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির বইয়েও আসছে পরিবর্তন সংখ্যালঘুদের ‘টার্গেট’ করে সহিংসতার ঘটনায় ৮৮ মামলা, ৭০ জন গ্রেপ্তার নবজাতকের মরদেহ আটকিয়ে ২০ হাজার টাকা আদায়! চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলেসহ নিহত ৩ মধ্যরাতে হামলায় আ. লীগকে দায়ী করে যা বললেন হাসনাত শেখ হাসিনার বক্তব্য বাংলাদেশ পছন্দ করছে না : দিল্লিকে পররাষ্ট্র সচিবের বার্তা ভারতে ধর্ষণের অভিযোগে আওয়ামী লীগের ৪ নেতা গ্রেপ্তার ভিসা সেন্টার দিল্লি থেকে ঢাকায় আনার অনুরোধ প্রধান উপদেষ্টার সীমান্তহত্যার অসঙ্গতি নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে: পররাষ্ট্রসচিব

যশোরের সাঈদ হত্যা, রাজশাহীর ডিআইজি আনিসসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

রিপোর্টার নাম:
আপডেট সোমবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৪

বাংলার কথা ডেস্ক

বিচার বর্হিভূত হত্যার ঘটনায় যশোরে সাবেক পুলিশ সুপার ও বর্তমান রাজশাহী বিভাগের ডিআইজি আনিসুর রহমানসহ ৮ জনকে আসামি করে যশোরের আদালতে মামলা হয়েছে। যশোরের মণিরামপুর উপজেলার জয়পুর গ্রামের আবু সাঈদ নামে এক যুবককে আটকের পর ক্রসফায়ারে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে উক্ত মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে।

রবিবার (১৮ আগস্ট) আবু সাঈদের স্ত্রী পারভীন খাতুন বাদী হয়ে যশোরের মণিরামপুর আমলি আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহমেদ অভিযোটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশের খুলনা বিভাগীয় ডিআইজিকে আদেশ দিয়েছেন। বাদী পক্ষের আইনজীবী শহীদ ইকবাল মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার আসামিরা হলেন- যশোরের মণিরামপুর থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোল্যা খবির আহমেদ, এসআই তাসমীম আহমেদ, এসআই শাহীন, দুর্গাপুর গ্রামের মৃত দুর্গাপদ সিংহের ছেলে সুব্রত সিংহ, জিনার আলীর ছেলে মতিউর রহমান, জয়পুর গ্রামের মৃত নওশের আলী মেম্বারের ছেলে মোন্তাজ আলী, খোদগাংড়া গ্রামের মৃতা আব্দুল মান্নানের ছেলে ফিরোজ আহমেদ।

মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার পর উপজেলার জয়পুর বাজারের পল্লী চিকিৎসক বজলুর রহমানের দোকান থেকে আবু সাইদকে আটক করে পুলিশ। এরপর পুলিশ তাকে মারপিট করে গাড়িতে করে থানায় নিয়ে যায়। পরিবারের লোকজন খোঁজ নিতে গেলে জানানো হয় পুলিশ সুপারের নির্দেশে তাকে আটক করা হয়েছে। এরপর তাকে একটি পেন্ডিং মামলায় আটক দেখানো হয় এবং ওসি আওয়ামী লীগ নেতা মমতাজ আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলে। মমতাজ আলী তখন মোটা অংকের টাকা দাবি করে। টাকা দিতে রাজি না হলে তিনি জানান, আবু সাঈদ বিএনপি করে এবং সে ক্রসফায়ারের এক নম্বর লিস্টে আছে।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, ওইদিন রাতে আবু সাঈদকে থানা অভ্যন্তরে মারপিট করা হয়। এরপর গভীর রাতে তাকে যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের বেগারিতলা নামকস্থানে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে। পরের দিন সকালে পরিবারকে তার মৃত্যুর বিষয়টি জানানো হয়। এরপর আসামিরা যোগসাজেসে আবু সাঈদের ময়নাতদন্ত করে মরদহে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।

অভিযোগে মামলার বাদী দাবি করেছেন, পুলিশ হেফাজতে আবু সাইদের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা করতে গেলে মামলা না নিয়ে হুমকি-ধামকি দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে পরিবেশ অনুকূলে আসায় ন্যায় বিচারের স্বার্থে তিনি আদালতে এই মামলা দায়ের করেছেন।

প্রসঙ্গত, আনিসুর রহমান ২০১৪ সালের ২৪ মার্চ যশোরের পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন এবং ২০১৮ সালের ১৯ আগস্ট পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।

সূত্র : ঢাকা পোস্ট

 

বাংলার কথা/আগস্ট ১৯, ২০২৪


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরিতে আরো নিউজ