প্রথম আলোর রিপোর্ট
নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন প্রথম আলোকে বলেছেন, মানুষ যাতে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে, সেটা নিশ্চিত করতে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে। সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাবে।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চার কমিশনারকে নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এই নিয়োগের পর আজ বেলা তিনটার দিকে প্রথম আলো কথা বলেছে নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীনের সঙ্গে ।
সদ্য নিয়োগ পাওয়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘২০১৪ সাল থেকে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। গত জুলাই–আগস্টের আন্দোলনে অনেক মানুষ প্রাণ দিয়েছে। এই আন্দোলনের মূল বিষয়ই ছিল ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা। এত মানুষের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা সম্ভব নয়। সে জন্য সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার চেষ্টা চালাব।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার নাসির উদ্দীন জানান, তিনি প্রথমে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলেন। এরপর পরিকল্পনা বিভাগের সদস্য হয়েছিলেন। তিনি বিদ্যুৎ–জ্বালানি এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলেন। ২০১০ সালের জুলাই মাসে সরকারি চাকরি থেকে অবসর নেন তিনি।
নাসির উদ্দীন উল্লেখ করেন, ‘সচিব হিসেবে তিনটি মন্ত্রণালয় পরিচালনা করার অভিজ্ঞতা আমার রয়েছে। সেই অভিজ্ঞতা থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে এগোতে পারব বলে আমি বিশ্বাস করি।’ তিনি মনে করেন, নির্বাচন কমিশনের জন্য বহুরকম চ্যালেঞ্জ থাকবে; সামনে আরও অনেক চ্যালেঞ্জ আসবে। সেটা বিবেচনায় রেখেই নতুন নির্বাচন কমিশন কাজ করবে।
নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণের বিষয়ে নানা রকম আলোচনা চলছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নাসির উদ্দীন বলেন, এ নিয়ে আগাম কিছু বলা যাবে না। কারণ, বিভিন্ন দল নিয়ে নানা আলোচনা রয়েছে। ফলে সময় হলে বিষয়গুলো পরিষ্কার হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদের জন্য বিএনপি যে দুজন সাবেক সচিবের নাম প্রস্তাব করেছিল, তাঁদের মধ্যে এ এম এম নাসির উদ্দীন নিয়োগ পেলেন। তবে নাসির উদ্দীন বলেন, কখনো চিন্তাও করেননি যে তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পাবেন। ফলে এই মর্যাদা তিনি রাখার চেষ্টা করবেন। তিনি আরও বলেন, তিনি সততার সঙ্গে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁর নেতৃত্বাধীন নতুন নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাবে। তাঁরা তা করতে পারবেন বলে তিনি মনে করেন।
বাংলার কথা/নভেম্বর ২১, ২০২৪