বাংলার কথা ডেস্ক
দেশবাসীর উদ্দেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, প্রতিহিংসায় লিপ্ত হবেন না, আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না।
আজ বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশকে গত ১৫ বছর যাবত বন্দি করে ফেলা হয়েছিল। আজ উন্মুক্ত হয়েছে গণতন্ত্রের দ্বার। আজ মুক্ত স্বাধীন প্রিয় বাংলাদেশ। সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো অপশক্তি বাংলাদেশকে দমিয়ে রাখতে পারবে না। ১৯৭১ এবং ২০২৪ এ দুই মুক্তিযুদ্ধের বার্তা একই—যে শর্ত দিয়ে কখনো স্বাধীনতা হয় না। স্বাধীনতাপ্রিয় জনগণ স্বাধীনতা রক্ষায় কোনো শর্ত মানে না।’
তিনি বলেন, ‘ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ বিপ্লবের মধ্য দিয়ে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বাংলাদেশ দেখেছে আরেকটি বিজয়। আমি বিএনপিসহ প্রতিটি গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে দলমত নির্বিশেষে অভিনন্দন জানাই বাংলার বীর জনতাকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশবাসীর ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। প্রমাণ হয়েছে আবারও মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ কখনো পরাজয় মানে না, মানতে পারেনা এবং মানবে না। হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর আমি যত মানুষের সাথে কথা বলেছি তারা আমাকে বলেছে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে।’
তারেক রহমান বলেন, ‘সভ্য ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পুলিশ অপরিহার্য। পুলিশ জনগণের শত্রু নয়। বিএনপিসহ ও গণতান্ত্রিক দলগুলো মনে করে পুলিশের ভেতর একটি চক্র ছাড়া অধিকাংশ পুলিশ কর্মকর্তা এবং সদস্য চাকরিবিধি ও আইনকানুন মেনেই, দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করছে।’
‘বর্তমানে একটি চক্র পুলিশের মনোবল ভেঙে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। পুলিশকে অকার্যকর করা গেলে, দেশকে অস্থিতিশীল করা সহজ। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মাঝে নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি করা সহজ,’ যোগ করেন তিনি।
অস্থিতিশীলকারীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘পুলিশ কিংবা ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ওপর হামলা আজ থেকে বন্ধ করুন। এমনকি বিএনপি নাম ব্যবহার করে কেউ অপকর্ম করতে চাইলে তাকে আইনের হাতে তুলে দিন।’
‘পুলিশের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে যথানিয়মে অভিযোগ করুন। কেউ দয়া করে নিজের হাতে আইন তুলে নেবেন না। প্রতিহিংসায় লিপ্ত হবেন না,’ বলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। শাসন, প্রশাসনকে সময় উপযোগী করে গড়ে তোলা এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। নিয়োগ ও প্রমোশনে মেধার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার থাকতে হবে।’
‘বিদেশে অবস্থানরত জ্ঞানী-গুনিদের রাষ্ট্র পরিচালনায় ও নীতি প্রণয়নে অন্তর্ভুক্ত করতে জাতীয় সংসদে উচ্চকক্ষ চালু করার প্রস্তাব বিএনপি রেখেছে,’ যোগ করেন তিনি।
সূত্র : ডেইলী স্টার
বাংলার কথা/আগস্ট ০৭, ২০২৪