বাংলার কথা ডেস্ক
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের দুই সমন্বয়কারী মো. নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। দুজনই ছাত্র এবং সার্টিফিকেট অনুযায়ী দুইজনের বয়সই ২৬। বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ উপদেষ্টা হলেন তারা।
সরকারি চাকরির নিয়োগে কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরুর দেড় মাসেরও কম সময়ের মধ্যে তারা এখন অন্তর্বর্তী সরকারের সদস্য।
নাহিদ ইসলাম ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক। তার বাড়ি ঢাকার বনশ্রীতে। বনশ্রী সরকারি স্কুল থেকে এসএসসি ও সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন তিনি। বাবা বদরুল ইসলাম জামির পেশায় স্কুলশিক্ষক ও মা মমতাজ নাহার গৃহিণী। নাহিদ বিবাহিত।
নাহিদ ২০১৬-১৭ সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। তিনি বর্তমানে মাস্টার্স প্রোগ্রাম (এমএসএস) অধ্যায়নরত আছেন একই বিভাগ থেকে। ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনেও তিনি সক্রিয় ছিলেন। সেখান থেকে নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা ছাত্র অধিকার পরিষদের মাধ্যমে ছাত্র রাজনীতিতে যোগ দেন। এ সময় তিনি এ সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন।
২০২৩ সালের ৩ জুলাই গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের অভিযোগে এনে ছাত্র অধিকার পরিষদ থেকে একযোগে পদত্যাগ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সব সদস্য- যার মধ্যে নাহিদও ছিলেন। এর কয়েক মাস পর ৩ অক্টোবর ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক আখতার হোসেনের নেতৃত্বে গঠন করা হয় গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি। নাহিদ বর্তমানে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
কোটা আন্দোলনের আরেক সমন্বয়কারী ছিলেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।
আসিফ মাহমুদের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার আকবপুর ইউনিয়নের আকবপুর গ্রামে। তার বাবার নাম মো. বিল্লাল হোসেন ও মা রোকসানা বেগম। আসিফ মাহমুদ আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজের সাবেক ছাত্র ও কলেজটির বিএনসিসি ইউনিটের প্লাটুন সার্জেন্ট ছিলেন। সেখান থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করে তিনি ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়র ভাষাবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। এখন তিনি স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে পড়ছেন।
আসিফও ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। এরপর ছাত্র অধিকার পরিষদের সঙ্গে রাজনীতি শুরু করেন। তিনি সর্বশেষ ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর সংগঠনের গঠনতন্ত্রের লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে তার নেতৃত্বে পুরো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি পদত্যাগ করে। এরপর ৩ অক্টোবর গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির সূচনার পর তিনি সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সূত্র : যুগান্তর
বাংলার কথা/আগস্ট ০৯, ২০২৪