• ঢাকা, বাংলাদেশ শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:৫২ অপরাহ্ন

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে সমর্থন দিয়ে সরে দাঁড়ালেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী

রিপোর্টার নাম:
আপডেট শুক্রবার, ৫ জানুয়ারী, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের লাঙ্গলের প্রার্থী রাজশাহী জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক মোঃ শামসুদ্দিন রিন্টু। তিনি গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

সারা দেশে একে একে জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের নির্বাচন বর্জনের ঘোষণার মধ্যে শামসুদ্দিন রিন্টুও শামিল হলেন। তবে রাজশাহী জেলার অন্য পাঁচটি আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা এখনো সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেননি।

বৃহস্পতিবার বিকেলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে শামসুদ্দিন রিন্টু বলেন, তিনি কর্মীদের আর ধরে রাখতে পারছিলেন না। তাঁর কর্মীরা তাঁর কাছে সিদ্ধান্ত চাচ্ছেন। তিনি কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারছেন না। কেন্দ্র তাঁদের কোনো সহযোগিতা করেনি। পোস্টারও দেয়নি। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন একটা উৎসব। কর্মীরা কেন এই উৎসব থেকে বঞ্চিত হবেন?’

শামসুদ্দিন রিন্টু নৌকার প্রার্থীকে আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থনের কথা জানিয়ে বলেন, রাজশাহী জেলার দলীয় ছয়জন প্রার্থী তাঁরা এক জায়গায় বসেছিলেন। সবার সঙ্গে আলোচনা করেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

 

দলের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে যোগাযোগ করা হয় রাজশাহী-২ (সদর) আসনের লাঙ্গলের প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপনের সঙ্গে। তিনি জাতীয় পার্টির রাজশাহী মহানগরের আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, তাঁরা জেলা আহ্বায়ক শামসুদ্দিন রিন্টুকে নির্বাচন থেকে আগেই সরে দাঁড়ানোর অনুমতি দিয়েছেন। তবে জেলার বাকি পাঁচ প্রার্থী মাঠে রয়েছেন। লজ্জায় তাঁরা মাঠ থেকে সরে দাঁড়াতে পারছেন না। এখনো মাঠে আছেন। এর শেষ দেখে ছাড়বেন।

 

রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের লাঙ্গলের প্রার্থী মোঃ শামসুদ্দীন তানোর উপজেলা জাতীয় পার্টির চারবারের সভাপতি। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা অভিনয়ের ‘মহারাজা’ সেজে মাঠে রয়েছেন। তাঁরা নাটকে আছেন। জি এম কাদের যেমন নাটক করে ২৬টি আসন নিয়ে নিলেন।

 

শামসুদ্দীন বলেন, জাতীয় পার্টি যখন রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে তখন থেকে তিনি এর সঙ্গে রয়েছেন। ছাড়তে পারেননি। তাঁর আশা ছিল তিনি এমপি প্রার্থী হবেন। তাই কর্মীদের মাইক্রোবাস ভাড়া করে নিয়ে বেড়াচ্ছেন। তিনি ধান বিক্রি করে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন। শুধু ধানই বিক্রি করেননি, ১৬ বিঘা জমিতে আলু চাষ করার জন্য বীজ রেখেছিলেন, সেই বীজ বিক্রি করে দিয়েছেন। জমিও ইজারা দিয়েছেন। এসব করে নির্বাচন করছেন।

 

রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের লাঙ্গলের প্রার্থী আবদুস সালাম খান। মোহনপুর উপজেলায় তাঁর কোনো পোস্টার চোখে পড়েনি। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি সামর্থ্য অনুযায়ী বড় পোস্টার শুধু একবারই লাগিয়েছেন। আর ছোট পোস্টার বিলি করছেন। তিনি বলেন, পার্টির জেলার আহ্বায়ক সরে দাঁড়ালেও তিনি নির্বাচনের শেষ দিন পর্যন্ত মাঠে থাকবেন।

 

রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের লাঙ্গলের প্রার্থী আবু তালেব প্রাং বলেন, ভাগ্যে যা আছে তাই হবে। তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন না।

 

রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের লাঙ্গলের প্রার্থী আবুল হোসেন এরশাদ সরকারের সময় জাতীয় পার্টি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তাঁর প্রচার-প্রচারণাও একই রকম। তবে এবার তাঁর বাড়িতে পেট্রলবোমা হামলার অভিযোগ করেছেন তিনি। তিনি বলেন, একটা প্রতীক তো পেয়েছি। এই প্রতীক নিয়ে মানুষের কাছে যেতে পারছি। বিজয়ের আশা আছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, মানুষ ভোট দিলে তিনি জিতবেন।

 

সূত্র: পদ্মাটাইমস

 

বাংলার কথা/জানুয়ারি ০৫, ২০২৪


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরিতে আরো নিউজ