নিজস্ব প্রতিবেদক
একদিন বন্ধ থাকার পর তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করেছে রাজশাহী মহানগর বিএনপির নেতারা। মঙ্গলবার সকাল থেকে তালাবন্ধ ছিলো বিএনপি দলীয় কার্যালয়। বুধবার বিকেল তিনটার দিকে বিএনপি নেতারা তালা ভেঙ্গে অফিসে প্রবেশ করেন। বিএনপি নেতারা দাবি করেন পুলিশ তাদের অফিসে তালা দিয়ে রেখেছিলো। তবে পুলিশ দাবি করেছ, ঐ অফিসে পুলিশ কোন তালা মারেনি।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় নগরীর মালোপাড়া থেকে রেলগেট পর্যন্ত পদযাত্রা কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছিলো স্থানীয় বিএনপি। এজন্য ২১ মে দলের পক্ষে মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনারের কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, পুলিশের পক্ষ থেকে এর অনুমতি দেয়া হয়নি। সোমবার রাতে মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে পদযাত্রা কর্মসূচি নিষিদ্ধ করা হয়।
মঙ্গলবার সকাল থেকে বিএনপি কার্যালয়সহ নগরীর সাহেববাজার ও আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তাবলয় পড়ে তোলে পুলিশ। মালোপাড়া এলাকায় বিএনপি কার্যালয়ে ঢোকার মূল ফটকে অবস্থান নেয় বিপুল সংখ্যক পুলিশ। পুলিশের এই অবস্থানের কারণে দলীয় নেতাকর্মীরা কেউ অফিসমুখী হয়নি। বিএনপি নেতারা মঙ্গলবার দাবি করেন, পুলিশ তাদের অফিসে তালা মেরে রেখেছে। এদিকে, আগের দিন বিএনপি দলীয় কার্যালয়ে ঢোকার প্রধান ফটকে পুলিশের বিশেষ ফোর্স সিআরটি সদস্যরা অবস্থান নিলেও বুধবার সকাল থেকে তারা ছিলেন না। তবে, এদিনও দলীয় এই কার্যালয়ের সামনে কিছু সংখ্যক পুলিশ পাহারায় ছিলেন। দুপুর ১২টার দিকে দলীয় কার্যালয়ে (দ্বিতীয় তলায়) ওঠেন বিএনপির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ। অফিসে তালা দেয়া থাকায় তারা অফিসের বাইরে বারান্দায় বসে ছিলেন। দুপুরে মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, আমাদের অফিসে এখনও তালা মারা আছে। আমরা পুলিশ কমিশনারকে বলেছি, ওসি সাহেবকেও বলেছি। কিন্তু অফিসের তালা এখনও মারা আছে।
তবে, বিকেল তিনটার দিকে বুলবুলসহ বিএনপি নেতারা অফিসে লাগানো বাড়তি তালাটি ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করেন।
তালা ভাঙ্গার পর রাজশাহী মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ বলেন, মঙ্গলবার সকাল থেকে বিএনপি কার্যালয় ঘিরে রাখে পুলিশ। এরপর বুধবার সকালে আমরা অফিসে গেলে সেটি তালাবদ্ধ অবস্থায় পায়। পরে পুলিশের সাথে যোগযোগ করি। পুলিশ আমাদের বলে তারা তালা মারেনি। তাই আমার কিছুক্ষন অপেক্ষা করে তালা ভেঙ্গে অফিসে প্রবেশ করেছি।
বিএনপি অফিসে তালা দেয়া প্রসঙ্গে রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার আনিসুর রহমান বলেন, আমরা তাদের অফিসে তালা মারিনি। ওদের অফিসে তালা কে মেরেছে সেটা আমরা জানি না। ওদের মধ্যে গ্রুপিং আছে। এর জেরে কোন পক্ষ তালা মারতে পারে।