নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজশাহীর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কাজেম আলী আহমেদ হত্যাকাণ্ডের রহস্যের জট এখনো খোলেনি। এখন পর্যন্ত নেউ গ্রেপ্তারও হয়নি। হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
ডা. কাজেম আলী হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ মেডিকেল এ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) রাজশাহী শাখা। এতে চিকিৎসক ছাড়াও মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
মনববন্ধনে বিএমএ রাজশাহী শাখার সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার নওশাদ আলী বলেন, চিকিৎসা সেবা বাদ দিয়ে সহকর্মীর হত্যার প্রতিবাদে রাস্তায় নামতে হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ২৪ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এমনকি এ হত্যাকান্ডের রহস্যজট উন্মোচন করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বিষয়টি উদ্বেগের।
তিনি বলেন, আমার চাই না এটি নিয়ে বৃহত্তর অন্দোলন করতে। তবে, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এ মামলার কোন অগ্রগতি না হলে বাধ্য হবেন কঠোর কর্মসূচি দিতে। সহকর্মীর হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার না করা হলে রাজপথে নামরও হুঁশিয়ার দেন তিনি ।
মানববন্ধনে বিএমএ রাজশাহী শাখার সভাপতি ডাঃ এবি সিদ্দিকি, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ রাজশাহীর সভাপতি ডাক্তার চিন্ময় কান্তি দাস, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ রামেকের সভাপতি ডা. খলিলুর রহমান, বিএমএ রাজশাহীর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এদিকে, ডা. গোলাম কাজেম আলীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাত তিনজনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। সোমবার আরএমপির রাজপাড়া থানায় এ মামলাটি করেন ওই চিকিৎসকের স্ত্রী ডা. ফারহানা ইয়াসমিন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজপাড়া থানার ওসি রফিকুল ইসলাম।
মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়, রোববার রাত ১১টা ৩৫ মিনিটে নগরীর পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চেম্বার শেষ করে মোটরসাইকেলে বাসায় ফিরছিলেন ডা. গোলাম কাজেম আলী। মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন মো. শাহিনুজ্জামান। রাত ১১টা ৫০ মিনিটে তারা নগরীর বর্নালী মোড় থেকে ১০০ গজ দূরে পৌঁছালে সিলভার রঙয়ের একটি হায়েস মাইক্রোবাসে তিন ব্যক্তি এসে মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। তাদের একজন প্রথমে ডা. কাজেমের পায়ে আঘাত করে। এতে তিনি মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যান।
পরে তারা ডা. কাজেমের বুকের বাম পাশে ছুরিকাঘাত করেন। এ সময় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় তার। পরে মোটরসাইকেল চালক শাহিনুজ্জামান ওই চিকিৎসককে রিকশায় করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
রাজপাড়া থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা রুজু হয়েছে। এ ব্যাপারে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। বিভিন্ন বিষয় মাথায় রেখে পুলিশ তদন্ত কাজ চালিয়ে যাবে।