ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি
পাবনার ঈশ্বরদীতে বহুল আলোচিত যুবলীগকর্মী সৌরভ হাসান টুনটুনি ও তার ছোট ভাই তানভির হাসান মনা হত্যার প্রধান আসামী যুবলীগকর্মী ওয়ালিফ হোসেন মানিককে (৩৪) গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে ব্রেন স্ট্রোকের রোগী ৭৮ বছরের এক বৃদ্ধাকে।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার রূপপুর পাকার মোড়স্থ ইউসুফ পাটোয়ারির গলিতে নিজ বাড়ির পেছনে দুর্র্র্র্র্বৃত্তদের হামলায় মানিক নিহত হন।
নিহত মানিক ওই এলাকার মোঃ ইউনুস সরদার ওরফে ইউনুস লন্ড্রির ছেলে। তিনি পাকশী ইউনিয়ন যুবলীগের কর্মী হিসেবে উপজেলা যুবলীগ সভাপতি শিরহান শরীফ তমালের সঙ্গে রাজনীতি করতেন।
নিহত মানিকের পরিবার ও থানা সূত্রে জানা যায়, পাকশী ইউনিয়ন যুবলীগকর্মী সৌরভ হাসান টুনিটুনির বাম হাতের কনুই পর্যন্ত কেটে ফেলা ও টুনটুনির ছোট ভাই তানভির হাসান মনা হত্যা মামলায় প্রধান আসামি ছিলেন নিহত মানিক। টুনটুনির হাত কাটা মামলায় পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত মানিক ৭/৮ দিন আগে জামিনে ছাড়া পেয়েছিলেন। এরপর গত রবিবার রাতে নিজ বাড়ি রূপপুরে আসেন। সোমবার সকালে বাইরে ঘুরে-ফিরে বাড়ির পেছন দিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করতে ছিলেন। এমন সময় কিছু দুর্বৃত্ত এসে তাকে গুলি করে ও মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যা করে।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শহিদুল ইসলাম শহিদ জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই ওয়ালিফ হোসেন মানিককে হত্যা করা হয়েছে। তারপরও হত্যার কারণ জানতে সন্দিগ্ধদের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজন বয়স্ক নারীকে থানায় আনা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। লাশ দাফনের পর নিহতের পরিবার থেকে মামলা দায়েরের কথা রয়েছে বলে জানান ওসি।
বাংলার কথা/শেখ মেহেদী হাসান/নভেম্বর ১৮, ২০২৪